Site icon Jamuna Television

কম দামে গাড়ি বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে শতকোটি টাকার মালিক; অবশেষে গ্রেফতার

কম দামে গাড়ি কেনার কথা বলে পথে বসিয়েছেন শত শত মানুষকে। আর তাতে সিএনজি ড্রাইভার থেকে প্রতারণার মাধ্যমে নিজে বনেছেন শতকোটি টাকার মালিক। সেই টাকায় হয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও।

এই অভিনব প্রতারণার নায়ক কুমিল্লার মানিকারচর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। বহু মামলার পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

৩৪ বছর বয়সী জাকির হোসেন ৬ বছরের ব্যবধানে চালক থেকে শতকোটি টাকার মালিক হন। গড়েছেন আলিশান ভবন, কিনেছেন একরের পর একর জমি। আছে বিশাল খামারও। শুধু তাই নয় ঢাকা, মুন্সিগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় তার সম্পদের পাহাড়। সবশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়নে হয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান। জাকির হোসেন নিজেকে পরিচয় দিতের ঢাকার ব্যবসায়ী হিসেবে।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে ডিবি কার্যালয়ের সামনে কয়েকদিন ধরে ছিল বিপুল মানুষের ভিড়। তাদের অধিকাংশ জাকির চেয়ারম্যানের কাছে প্রতারিত। ভুক্তভোগীর তালিকায় আছেন ব্যাংকার, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য। যাদেরকে বোকা বানিয়ে নিজের ভাগ্য বদলেছেন জাকির।

ভুক্তভোগীরা জানান, দামি দামি গাড়ি কম দামে বিক্রির প্রলোভন দেখাতো জাকির। শর্ত দিতো গাড়ি কিনে তার রেন্ট-এ-কার কোম্পানিতে ভাড়া দিতে হবে। বিনিময়ে মাসে ৭০-৮০ হাজার টাকা ভাড়া দেবেন। চুক্তি করে জাকির একেক জনের কাছ থেকে নিতো ১৫-২৫ লাখ টাকা। তারপর উধাও হয়ে যেতেন।

এক বছর ধরে ভুক্তভোগীরা ঘুরছেন সরকারের বিভিন্ন দফতরে। কিন্তু প্রভাবশালীদের সাথে জাকিরের ওঠাবসা থাকায় গ্রেফতার করা যায়নি। সবশেষ মুগদা থানার একটি মামলায় জাকির চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ।

ডিএমপির ডিবি শাখার অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, দেশের সব জেলায় তার দ্বারা প্রতারিত ভুক্তভোগী আছেন। তবে সবচেয়ে বেশি মুন্সিগঞ্জে। পুলিশ বলছে, অল্প টাকায় গাড়ি কেনার লোভে একে অন্যের কাছে খোঁজ পেয়ে তার কাছে আসতো মানুষ।

জানা গেছে, জাকির চেয়ারম্যানের কাছে প্রতারিত হয়েছেন অন্ততো ৩০০জন।

/এমএন

Exit mobile version