Site icon Jamuna Television

গাজীপুরে চুরির অভিযোগে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

গাজীপুর প্রতিনিধি:

গাজীপুরের শ্রীপুরে রানা নামের এক যুবককে ডেকে নিয়ে রাতভর পিটিয়ে গুরুতর আহত করে, হত্যার অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের অভিযোগ, তাকে পরিকল্পিতভাবে নির্যাতন ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। পরে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ থানায় নিয়ে যায় নিহত যুবকের স্বজনরা। এর আগে শুক্রবার সারারাত শারীরিক নির্যাতন করে গুরুতর আহত করা হয় ওই যুবককে। নিহতের বাবা আমিরুল ইসলাম শ্রীপুর উপজেলার মাওনা এলাকার বেদেপল্লীর পাশে একটি নির্জন স্থানে তার ছেলেকে এলোপাতাড়ি মারধর করতে দেখে এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা তাকেও মারধর করে। নিহত রানা মিয়া রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।

অভিযুক্তরা হলেন, স্থানীয় ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী একই এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে মো. শিপন মিয়া (২৫), আকাশ মিয়া (২২), উজ্বল মিয়া (২৫) ও আবুল কাশেমের ছেলে ইমন (২৬)।

ভুক্তভোগী নিহত যুবকের ভাই কবির হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে মাওনা পিয়ার আলী কলেজের পেছনে রানাকে ভাঙ্গারি দোকানের মালিক শিপন ডেকে নিয়ে যায়। পরে তাকে রাতভর এলাকার কিছু উশৃঙ্খল যুবকদের সঙ্গে নিয়ে নির্যাতন চালায় শিপনের বাহিনী। এই নির্যাতন সকাল পর্যন্ত চালিয়ে যায়। এরপর নিহত যুবকের বাবা আমিরুল ইসলাম ও তার মা খবর পেয়ে এগিয়ে গেলে তাদের সামনেও রানাকে আঘাত করে। এতে বাধা দিলে ওরা তার মা-বাবাকেও মারধর করে এবং স্বজনদের কাছ থেকে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। এরপর ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যু হয় রানার।

নিহতের বাবা আমিরুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে বুকের পাজর, দুই হাত, পা ভেঙে দেয়। আমার ছেলের শরীরের এক ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা নেই যেখানে আঘাত করেনি ওরা।

অভিযুক্ত ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী শিপনের বক্তব্য নিতে বাড়িতে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি। এ সময় শিপনের মা রোকেয়া আক্তার বলেন, রানাকে শিপন মারধর করেনি। তাহলে আপনার ছেলে পালিয়ে গেলো কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সে পালায়নি। সে ব্যবসায়িক কাজে বাইরে আছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, হত্যার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে কাজ করছে পুলিশ।

এটিএম/

Exit mobile version