Site icon Jamuna Television

নাটোরে মেয়ের সামনে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা

সিনিয়র করেসপনডেন্ট, নাটোর

নাটোরের বড়াইগ্রামে মেয়ের সামনে বিউটি খাতুন নামে এক নারীকে গলাকেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার গোপালপুর স্কুলপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ৪০ বছর বয়সী নিহত বিউটি একই এলাকার আলতাফ হোসেনের মেয়ে।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক জানান, একই এলাকার পিন্টু হোসেন নামের এক ওয়ার্কশপ মিস্ত্রির সাথে স্ত্রী বিউটি খাতুনের পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহে বিউটি-বারেক দম্পতির মাঝে প্রায়ই কলহের সৃষ্টি হতো। শনিবার দিবাগত রাতে বিউটির মোবাইল ফোনে কথা বলাকে কেন্দ্র দুজনের ঝগড়া বাধে। এরই এক পর্যায়ে ধারালো হাঁসুয়া দিয়ে আব্দুল বারেক তার স্ত্রী বিউটির গলায় কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যায় বিউটি। এ সময় মেয়ে মাহির চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পেশায় ভটভটি চালক আব্দুল বারেককে ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

১২ বছর বয়সী মাহি খাতুন জানায়, তার মাকে হাঁসুয়া দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেছে তার বাবা। ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তার বাবা তাকে শাসিয়ে বলেছে, কাউকে যেনো তার নাম না বলি। মায়ের মৃত্যুতে তারা দুই বোন আর এক ভাই এতিম হয়ে গেলো বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে সে।

নিহত বিউটি খাতুনের ভাই মতিউর রহমান জানান, গোপালপুর মুন্সিপাড়া গ্রামের মোজাম্মেলের ছেলে পিন্টু তার বোনকে উত্যক্ত করতো। এই নিয়ে তার দুলাভাই ও বোনের মাঝে দ্বন্দ্ব ছিল। এ কারণে তার দুলাভাই তার বোনকে হাঁসুয়া দিয়ে গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করেছ। দ্রুত হত্যাকারীকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

এটিএম/

Exit mobile version