Site icon Jamuna Television

ষড়যন্ত্রের শিকার বিকেএসপির মহাপরিচালক!

ঘরের শত্রু যখন বিভীষণ, তখন বিপাকে পড়তে হয় আদর্শ ও ন্যায়ের পথে থাকা ব্যক্তিকে। এমনটিই ঘটেছে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিকেএসপিতে। প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন করতে গিয়ে কিছু অসাধু কর্মকর্তার বিরাগভাজন হয়েছেন বর্তমান মহাপরিচালক। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে ভিত্তিহীন সব অভিযোগ। বিকেএসপির সুনামহানি করার উদ্দেশ্যেই এমন অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মাজহারুল হক।

সাকিব-মুশফিক যার হাতে তৈরি সেই সর্বজন শ্রদ্ধেয় কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম বিকেএসপি ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন বিসিবির গুরুত্বপূর্ণ পদে। ফলে সাম্প্রতিক সময়ে ভালো মানের ক্রিকেটার তৈরিতে হিমশিম খেতে থাকে প্রতিষ্ঠানটি। দৃশ্যপট পাল্টাতে ভূমিকা রাখেন বিকেএসপির মহাপরিচালক। বিসিবির লোভনীয় পদ ছেড়ে নাজমুল আবেদীন ফাহিম ফেরেন পুরোনো ঠিকানায়।

প্রতিষ্ঠানটির মানোন্নয়নে একইভাবে অন্যান্য ডিসিপ্লিনেও আনা হয় দেশসেরা সব কোচদের। আনা হয় ভালো মানের বিদেশি কোচও। আর এসব করতে গিয়ে বিকেএসপির একটি মহলের রোষানলের শিকার হন মহাপরিচালক। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বিতর্কিত ছগির হোসেনকে পুনর্বহালের সিদ্ধান্তের দায় চাপানো হয় মহাপরিচালকের ওপর।

বিকেএসপির মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মাজহারুল হক বলেন, জনাব ছগির হোসেনের বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় থেকেই একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এবং তারা নিয়মকানুন মেনেই, আইনানুগ পদ্ধতিতেই তদন্ত সম্পন্ন করে সিদ্ধান্ত জানায় যে, তাকে পুনর্বহাল করা যেতে পারে। সেই অনুসারে, মন্ত্রণালয় থেকেই চিঠিটা এসেছে। এবং সেটা পরিপালন করতে আমরা বাধ্য।

মেহেদী হাসানের ডক্টরেট ডিগ্রির অনুমোদন এবং শিক্ষক ফারহানা বিনতে বারীর নেপাল সফর নিয়েও তোলা হয় প্রশ্ন। অভিযোগ আনা হয় ভর্তি ও বদলি বাণিজ্যের। এসব প্রসঙ্গে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মাজহারুল হক বলেন, কতিপয় দুর্নীতিগ্রস্ত ও ইতোপূর্বে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ছিল এ রকম দুয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারী, যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত কার্যক্রম চলমান ছিল। হয়তোবা শাস্তি পেয়ে যাবে, এই ভয়ে তারা এরকম একটি ঘৃণ্য অপচেষ্টার আশ্রয় নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিকেএসপি ঢেলে সাজাতে গিয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন মহাপরিচালক ব্রি. জে, এ কে এম মাজহারুল হক। এমনটাই মনে করেন বর্ষীয়ান কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে কিছু তদন্ত চলছিল। এবং সেটার কারণেই হয়তো মহাপরিচালককে টার্গেট করে করা হয়েছে। এবং তারা হয়তো এটি উপলব্ধি করেনি যে, এতে বিকেএসপিরও ক্ষতি হচ্ছে।

বিকেএসপির হকি কোচ জাহিদ আহমেদ রাজু বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উনাকে (মহাপরিচালক) বিভিন্নভাবে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে। এটা আসলে সত্য না।

আরও পড়ুন: অ্যাথলেট তৈরির সাথে ঝরে পড়াদের নিয়েও আছে বিকেএসপির পরিকল্পনা

/এম ই

Exit mobile version