Site icon Jamuna Television

এমআরএ বিধিমালায় সংশোধন; ক্ষুদ্রঋণের অর্থায়ন খড়া কাটানোর উদ্যোগ

ক্ষুদ্রঋণে কাটছে অর্থের খড়া। বিধি পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে বাড়তি সুযোগ। আগে প্রতিষ্ঠানগুলোর মোট সঞ্চয়ের ১৫ ভাগ ব্যাংকে রাখার বাধ্যবাধকতা ছিল। এখন ১০ ভাগ তারল্য রাখলেই চলবে। তহবিল বাড়াতে এই নিয়ম শিথিল করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)।

এছাড়া ঋণের অর্থ ফেরত দেবার ক্ষেত্রে বাড়ানো হয়েছে সময়। এমআরএ বলছে, ক্ষুদ্রঋণের সুবিধা বাড়লে প্রান্তিক পর্যায়ে তৈরি হবে কর্মচাঞ্চল্য। এর ফলে আরও বেশি মানুষের আর্থিক সেবা নিশ্চিত হবে।

উল্লেখ্য, ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত দেশের তিন কোটি ৩০ লাখ মানুষ। তবে, চাহিদার বিপরীতে বিভিন্ন ক্ষুদ্র অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান (এমএফআই) তীব্র তহবিল সংকটে ভুগছে। এ কারণে দীর্ঘদিন পর অর্থের খড়া কাটাতে উদ্যোগ নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা এমআরএ। বিধি সংশোধন করে আনা হয়েছে পরিবর্তন।

ব্যাংকে তারল্য সংরক্ষণ ১৫ ভাগের পরিবর্তে ১০ ভাগ করায় তহবিলে যোগান বাড়বে ১৫ ভাগ। আগে স্বেচ্ছা আমানত নেয়া যেত পুঁজির ২৫ ভাগ। এখন নেয়া যাবে ৪০ ভাগ। মেয়াদি আমানত এখন নেয়া যাবে ৫০ ভাগ। আগে যা নেয়া যেত ২৫ ভাগ।

এমআরএ এর এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ বলেন, বিধিমালা সংশোধনের ফলে এই খাতের পুঁজি সংগ্রহ, সঞ্চয়ের নিরপত্তা, সঞ্চয় বৃদ্ধি ও এটিকে কাজে লাগানো এবং স্থায়ী সম্পদ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতা নিশ্চত হবে।

আগে সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক ভিত্তিতে ঋণের অর্থ ফেরত দিত গ্রাহক। তবে এখন বিধিমালায় পরিবর্তন এনে তিন মাস, ছয় মাস ও এককালীন ভিত্তিতেও অর্থ ফেরত দেয়া যাবে। ক্ষুদ্রঋণের নামে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে এখন থেকে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিতে হবে। বাড়ানো হয়েছে ঋণের পরিমাণও।

মো. ফসিউল্লাহ আরও বলেন, প্রতিদিন ৭০০ কোটি টাকা লেনদেন হয়। জড়িত রয়েছে সাড়ে ৩ কোটি প্রান্তিক মানুষ। তাদের সঞ্চয় রয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। সবকিছু মিলিয়ে বড় একটি খাত। এটিকে ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা দরকার।

বলা হচ্ছে, এমন পদক্ষেপ ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম প্রসারে বড় ভূমিকা রাখবে। তহবিল ব্যবস্থাপনায় আসবে বড় পরিবর্তন।

সিডিএফ এর নির্বাহী পরিচালক আব্দুল আউয়াল বলেন, তহবিলের পরিমাণটা বেড়ে যাবে। সাধারণ সঞ্চয়, বাধ্যতামূলক সঞ্চয়, স্বেচ্ছামূলক সঞ্চয় এখন আরও বেশি বেশি করতে পারবে সদস্যরা। এ সঞ্চয় দ্বারা ঋণ তহবিলও বেড়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, গ্রামীণ অর্থনীতির ৭৪ ভাগ অর্থের যোগান দেয় ক্ষুদ্র অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান। জিডিপিতে এই খাতের অবদান প্রায় ১৫ ভাগ।

/এমএন

Exit mobile version