Site icon Jamuna Television

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়েও মুক্তি মেলেনি সোহেলের

অপহৃত মো. সোহেল মিয়া (৩৯)।

আহমাদুল কবির, মালয়েশিয়া: 

৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েও মুক্তি মেলেনি এক মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশির। ৯ দিন অতিবাহিত হলেও খোঁজ মেলেনি তার। জানা গেছে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে কুয়ালালামপুরের তামিলযায়া এলাকা থেকে অপহরণকারীরা তুলে নিয়ে যায় সোহেল মিয়াকে (৩৯)। সোহেল মিয়া টাঙ্গাইলের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

পরে, ওইদিন রাত আনুমানিক ২টার দিকে ‘০০৬০১৪৭২৩২৬২৪’ মালয়েশিয়া থেকে সোহেল তার দেশে থাকা ভগ্নীপতিকে ফোন করে জানান যে অপহরণকারীরা তাকে তুলে নিয়ে গেছে। ৫ লাখ টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলবে বলেও জানান তিনি। তবে কে বা কারা অপহরণ করেছে সে বিষয়ে কিছুই বলেননি সোহেল।

পরের দিন সকাল ১০টায় একই নম্বর থেকে ভগ্নীপতি মো. বিল্লাল হোসেনের কাছে আবারও ফোন করেন সোহেল। তখনও সোহেলের কাছ থেকে ফোন নিয়ে আরেক বাংলাদেশি ‘কুলপাটোয়া পোল্ট্রি ফিড, একাউন্ট নং: ৭০১৭১০০১০১১৮৮’ জনতা ব্যাংক বরিশাল শাখার একটি একাউন্ট নম্বর দেয়। বিল্লাল ঘটনাটি সোহেলের বোন, মা ও চাচাকে জানান।

এরপর, গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঘাটাইল সামী টেলিকমের মাধ্যমে অপহরণকারীদের দেয়া একাউন্টে টাকা জমা করে ওই দিনই অপহরণকারীদের দেয়া হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ৫ লাখ টাকার মানি রিসিট পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু টাকা পাঠানোর পর থেকে ওই নম্বরগুলোতে ফোন করলেও সেগুলো বন্ধ দেখাচ্ছিলো। সোহেলের স্বজনদের ধারণা, পরে ফোন করে অ্যাকাউন্ট নম্বর দেয়া ওই বাঙালি ব্যক্তিও অপহরণের সঙ্গে জড়িত।

এ ঘটনার পর, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সোহেলের ভগ্নীপতি মো. বিল্লাল টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও, সোহেলের নিকটাত্মীয় ও বিল্লাল হেসেনের মালয়েশিয়া প্রবাসী ভাতিজা হাশেম আহমেদ গত ২ অক্টোবর জহুর বারু সেলাতান থানায় (বালাই) আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও পুরো ব্যাপারটি মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনেও জানানো হয়।

অপহৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোহেল মিয়া (৩৯), পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান। সে থেকে মালয়েশিয়ায় একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন তিনি। 

মালয়েশিয়া তামিলযায়ায় পাশের বিল্ডিংয়ে বসবাসরত সোহেলের মামা মিজান জানান, ঘটনার দিন কাজ থেকে ফিরে ফোনে মায়ের সাথে কথা বলার পরে রাত ৯টার দিকে বাসার নিচে যান সহেল। তখনই বাসার নিচ থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। 

এ বিষয়ে, সোমবার (৩ অক্টোবর) মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের কাউন্সিলর (কন্স্যুলার) জি এম রাসেল রানার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করারচেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

/এসএইচ

Exit mobile version