Site icon Jamuna Television

মর্গে বেঁচে উঠেও মারা গেলেন ৫৫ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ান

ছবি: সংগৃহীত

৫৫ বছর বয়সী এক অস্ট্রেলিয়ান ব্যক্তিকে মৃত ভেবে মর্গে পাঠিয়ে দেন এক নার্স। জ্ঞান ফিরতেই লাশকাটা ঘরে নিজেকে পড়ে থাকতে দেখে আতঙ্কে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রকিংহাম হাসপাতালে।

কেভিন রিড (৫৫) নামে এক রোগীকে হাসপাতালের পেলিয়েটিভ কেয়ারে রাখা হয়। নার্স এসে তাকে পরীক্ষা করার পর মৃত বলে ঘোষণা করেন। সাধারণত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণার দায়িত্ব পালন করে থাকলেও এক্ষেত্রে সে ভূমিকায় ছিলেন এক নার্স। আর তাতেই বিপত্তি ঘটে।
রিডকে মৃত ঘোষণা করার পর লাশকাটা ঘরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়।

পরদিন যখন চিকিৎসক আবারও রিডের মরদেহ পরীক্ষা করেন তখন তিনি দাবি করেন যে এই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হলেও সে সময় তার মৃত্যু হয়নি। বরং লাশকাটা ঘরেই আতঙ্কে মৃত্যু হয়েছে রিডের। চিকিৎসকের এই দাবি ঘিরেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

হাসপাতালের কর্মীরা ডাক্তারকে বলেছিল যে রিডের দেহটি মর্গে গাউন পরিয়ে বিশ্রামের অবস্থানে রাখা হয়েছে এবং তার চোখ বন্ধ ছিল। কিন্তু ডাক্তার গাউনে রক্ত দেখতে পেয়েছেন। কর্মীরা যেভাবে বর্ণনা করেছিলেন মরদেহটি সেভাবে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়াও লাশের ব্যাগ এবং চোখ খোলা ছিল।

ওই চিকিৎসক হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন এবং হাসপাতাল এখন ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গেছে। ওই চিকিৎসক আদালতকে বলেছিলেন, আমি বিশ্বাস করি রক্তগুলো তাজা ছিল। এ ছাড়া মরদেহের হাতের অবস্থান এবং চোখের চিহ্নগুলো মর্গে পৌঁছানোর পর ময়নাতদন্তকারী ব্যক্তির দেয়া তথ্যের সাথে মেলেনি।

আদালতের একজন মুখপাত্র বলেছেন, রকিংহাম হাসপাতালের একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যুর বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার পর আদালত মৃত্যুর ব্যাপারে তদন্ত শুরু করে। তবে আদালত তদন্তের তথ্য প্রকাশ করে না।

/এনএএস

Exit mobile version