Site icon Jamuna Television

পারিশ্রমিক কমাচ্ছেন বলিউড তারকারা

কোভিড পূর্ববর্তী সময়ে বলিউডের সফল তারকাদের মধ্যে ছিলেন অক্ষয়-আমিররা। হালের টাইগার শ্রফও পেয়েছিলেন সাফল্যের দেখা। নিজেদের অভিনীত সিনেমার সাফল্যের সাথে পাল্লা দিয়ে নিজেদের পারিশ্রমিকও বাড়িয়েছিলেন তারা। কিন্তু সম্প্রতি সে সাফল্যে ভাটার টান এসেছে। পারিশ্রমিক আকাশছোঁয়া হলেও সে অনুযায়ী সিনেমায় সাফল্য আসেনি। তাই এবার পারিশ্রমিকেও ছাড় দিতে হচ্ছে বলিউডের অভিনেতাদের।

২০১৬ থেকে ২০১৯- ব্যাক টু ব্যাক সুপারহিট সিনেমা উপহার দেন ‘খিলাড়ি’ অক্ষয় কুমার। একপর্যায়ে সিনেমাপ্রতি ১৪৪ কোটি রুপি পারিশ্রমিক হাঁকাতে শুরু করেন আক্কি। কিন্তু অক্ষয় তার সেই সফলতা ধরে রাখতে পারেননি। কোভিড পরবর্তী সময়ে পরপর তিনটি সিনেমা মুখ থুবড়ে পড়ে। আসছে ২৫ অক্টোবর অক্ষয় অভিনীত ‘রাম সেতু’ সিনেমা কেমন করবে তা নিয়েও সন্দিহান অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে নিজের পারিশ্রমিকও অর্ধেকে নামিয়ে এনেছেন এ অভিনেতা।

বলিউড ইতিহাসে প্রথম ১০০, ২০০ ও ৩০০ কোটি রুপি আয় করা সিনেমা আমিরের। ভারতে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমা ‘দাঙ্গাল’ ও তার। তবে দাঙ্গালের পরই যেনো আমিরের ক্যারিয়ারে অমাবস্যা নেমে এসেছে। ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত থাগস অব হিন্দুস্তান বলিউডের ইতিহাসের অন্যতম ব্যর্থ সিনেমা। হালের ‘লাল সিং চাড্ডা’ও সুপার ডুপার ফ্লপ। শোনা যাচ্ছে, পরপর এমন ব্যর্থতায় নিজের পারিশ্রমিক ১০০ কোটি রুপির নিচে নামিয়ে এনেছেন আমির।

২০১২ সালে অভিষেকের পর ভিন্ন ধারার গল্পনির্ভর চলচ্চিত্রের জন্য আলাদা জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন আয়ুষ্মান খুরানা। বারেলি কি বারফি, শুভ মঙ্গল সাবধান, শুভ মঙ্গল জিয়াদা সাবধান, বাধাই হো, ড্রিম গার্ল যেমন পেয়েছে ব্যবসায়িক সাফল্য; তেমনই আন্ধাধুন ও আর্টিকেল ১৫ তাকে এনে দিয়েছে জাতীয় পুরস্কার। এক সময় পারিশ্রমিক ২৫ কোটি রুপি হয় আয়ুষ্মানের। তবে পরবর্তীতে সেই সফলতা ধরে রাখতে পারেনি। আপাতত নিজের পারিশ্রমিক ১৫ কোটি রুপিতে নামিয়ে এনেছেন আয়ুষ্মান।

গোটা ক্যারিয়ারে অভিনয় নিয়ে তেমন প্রশ্ন না উঠলেও পায়ের নিচের জমিটা কখনই শক্ত ছিল না শাহীদ কাপুরের। তবে ২০১৯ সালে তেলেগু রিমেক ‘কবির সিং’ শাহীদের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। হাতে আসে একগাদা সিনেমা, পারিশ্রমিক বেড়ে দাঁড়ায় ৩০ কোটি রুপিতে। কিন্তু এরপরই ‘জার্সি’ দেখে ভয়াবহ ব্যর্থতার মুখ। 

কোভিড পূর্ববর্তী সময়ে পরমাণু, সত্যমেভ জয়তে, বাটলা হাউজ দিয়ে সাফল্যের দেখা পেতে শুরু করেন জন আব্রাহাম। সমসাময়িক সময়ে তার কয়েকটি সিনেমা ব্যর্থও হয়। তবে সবচেয়ে বাজে অবস্থা হয় কোভিড পরবর্তী সময়ে। গত দেড় বছরে মুম্বাই সাগা, সত্যমেভ জয়তে ২, অ্যাটাক, এক ভিলেন রিটার্নস- জন আব্রহামের কোনো সিনেমাই সাফল্য পায়নি। তাই অন্যান্য তারকার মতো জন আর শহীদও পারিশ্রমিক কমিয়েছেন।

বক্স অফিস বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কোভিড, দক্ষিণ ভারতের সিনেমার জনপ্রিয়তা, ওটিটির উত্থানসহ নানা কারণে কমছে হিন্দি সিনেমার ব্যবসা। তারকাদের ভুল গল্প নির্বাচনও ব্যর্থতার আরেকটা কারণ। সব মিলিয়ে অক্ষয়-আমির কিংবা শহীদ কাপুরের মতো বলিউডের বাকি অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও এখন নিজেদের পারিশ্রমিক নিয়ে আপস করেন কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

/এসএইচ

Exit mobile version