Site icon Jamuna Television

শিলিগুড়িতে ভাবির ঘরে মিললো দেবরের ক্ষতবিক্ষত দেহ

ছবি: সংগৃহীত

গত শুক্রবার রাতে বাড়ি থেকে ভাবি বাপের বাড়িতে আসে দেবর। সকালে সেই ঘর থেকেই দেবর মৃতঙ্গরাম মুর্মুর (৩০) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার ভারতের শিলিগুড়িতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর জিনিউজের।

খবরে বলা হয়, মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকে পলাতক রয়েছেন ভাবি লক্ষ্মী মুর্মু। নিহতের মাথা ও কানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে মৃতঙ্গরামকে।

খবরে আরও বলা হয়, তিন বছর আগে মৃতঙ্গরামের ভাই মারা যায়। তারপর থেকেই দেবর ও ভাবির মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। কিন্তু লক্ষ্মী মুর্মুর বাড়িতে অন্য আরেক ব্যক্তির অবাধ যাতায়াত ছিল। ফলে ওই ঘটনায় ত্রিকোণ প্রেমের কোনো যোগাযোগ রয়েছে বলে অনেকের ধারণা।

এলাকাবাসী দীনেশ যাদব জানান, বিভিন্ন সময় দেখতাম অনেক লোকই এই বাড়িতে যাতায়াত করতো। সকালে শুনতে পাই এই বাড়িতে মার্ডার হয়েছে। এলাকায় এই ধরনের ঘটনা আগে ঘটেনি। পুলিশ এসেছে৷ বাকিটা পুলিশ তদন্ত করবে।

লক্ষ্মী প্রতিবেশী শোভা বিশ্বাস জানান, ছেলেটির মা এসে প্রথমে খবর দেয়। নিহতের মা প্রথমে ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। লক্ষ্মী মুর্মুর এটা বাপের বাড়ি। বাড়িতে একাই থাকতেন। মৃতঙ্গরাম মাঝে মধ্যে এসে এখানে থাকতো, আবার আরও এক লোককে দেখতাম। এটা খুন ছাড়া আর কিছু না।

ইউএইচ/

Exit mobile version