Site icon Jamuna Television

কিয়েভে তীব্র হামলা, ইউক্রেনের ক্লিচকো ব্রিজ উড়িয়ে দিলো রাশিয়া

ক্রাইমিয়ার সেতুতে বিস্ফারণের দুদিন পর ইউক্রেনের রাজধানীতে তীব্র হামলা চালিয়ে জবাব দিলো রাশিয়া। সোমবার দফায় দফায় বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হয় কিয়েভ। খারকিভ, জাপোরিঝিয়া, নিপ্রোসহ অন্তত ১০ অঞ্চলে চলে রুশ বাহিনীর তাণ্ডব। মিসাইল হামলায় উড়ে গেলো কিয়েভের জনপ্রিয় ক্লিচকো ব্রিজ।

ইউক্রেনের অভিযোগ, কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ৮৩টি মিসাইল ছুড়েছে রুশ বাহিনী। এ পর্যন্ত আট জনের মৃত্যু ও ২৪ জন আহতের খবর নিশ্চিত করেছে কিয়েভ। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বহু বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউক্রেনে রুশ অভিযানের শুরুর দিকে কয়েক দফা টার্গেট হলেও গত কয়েকমাস শান্ত ছিল রাজধানী কিয়েভ। সোমবার সকাল থেকেই মুহুর্মুহু মিসাইল পড়ছে গোটা অঞ্চলে।

দেশটির জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সকাল আটটার পর থেকেই চলে একের পর এক বিস্ফোরণ। হামলার দেড় ঘণ্টা আগে বাসিন্দাদের সতর্ক করতে বাজানো হয় সাইরেন। তবে তার আগেই ধ্বংসের নগরীতে পরিণত হয় কিয়েভ।

প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কির দাবি, রুশ হামলার শিকার দেশটির প্রধান বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো। এ সময় ভ্লাদিমির পুতিনকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেন তিনি।

জেলেনস্কি আরও বলেন, আমরা সন্ত্রাসীদের মোকাবেলা করছি। ডজন ডজন মিসাইল আর ইরানের শহিদ ড্রোন থেকে হামলা হয়েছে। তাদের প্রথম টার্গেট বিদ্যুৎকেন্দ্র। দ্বিতীয় টার্গেট জনগণ। তারা আতঙ্ক আর বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে চায়। যত বেশি সম্ভব ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। তবে আমরাও ইউক্রেনের নাগরিক। যতই হামলা চালাক জয়ের বিষয়ে আমাদের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করতে পারবে না। আরও হামলার আশঙ্কায় বাসিন্দাদের বোম্ব শেল্টারে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। যার কড়া জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুতিন। ইউক্রেনের হামলার দাঁতভাঙা জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। পুতিন বলেন, সব তথ্যপ্রমাণ নিশ্চিত করছে ৮ অক্টোবরের বিস্ফোরণ ছিল সন্ত্রাসী হামলা। উদ্দেশ্য ছিল রাশিয়ার কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা। এই হামলার নির্দেশ, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে তদারকি করে ইউক্রেনের সিক্রেট সার্ভিস। গ্যাস পাইপলাইনসহ অন্যান্য অবকাঠামোতেও এ ধরনের হামলা চালিয়েছে তারা। যার নিশ্চিত প্রমাণ আমাদের হাতে আছে।

এদিকে, কিয়েভে মস্কোর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। চলমান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে চীন।

ইউএইচ/

Exit mobile version