Site icon Jamuna Television

মরুভূমিতে জন্মাবে সব গাছ!

ছবি: সংগৃহীত

মরুভূমি শব্দটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে বিস্তীর্ণ জায়গাজুড়ে ধু ধু রুক্ষ বালুর রাজ্য। অদূর ভবিষ্যতে সেই মরুভূমির মাটিতে মরীচিকা নয় দেখা যাবে নানা জাতের গাছ, চারদিক ছেয়ে যাবে সবুজের সমারোহে। শুনতে অবাক লাগলেও, মরুর মাটিকে উর্বর করতে এমনই এক পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে ডেজার্ট কন্ট্রোল নামের একটি স্টার্টআপ কোম্পানি।

চায়না ডেইলির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বালুকণা যুক্ত মরুভূমির মাটির উর্বরতা বাড়াতে তারা এক ধরনের তরল যৌগ বানিয়েছে, যার নাম দেয়া হয়েছে লিকুইড ন্যাচারাল ক্লে। অনেকটা পানির মতোই তরল এ কাদা। এ উদ্ভাবনের জন্য দীর্ঘ ১২ বছর গবেষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মরুতে জন্মানো যাবে যেকোনো গাছ।

ডেজার্ট কন্ট্রোলের কর্মকর্তা অর্ন সুপাফল বলেন, বালুযুক্ত মাটি ওজনে হালকা এবং এগুলো একসাথে থাকে না। তবে, আমরা এই মাটিতে আমাদের তৈরি তরল কাদা যুক্ত করলে বালুকণা একটি কাঠামো তৈরি করতে সক্ষম হবে। আর এই কাঠামো পানি ও পুষ্টি ধরে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

প্রাথমিকভাবে পরীক্ষার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল আইন প্রদেশের মরুভূমিকে বেছে নিয়েছে কোম্পানিটি। আর এ মাটিতে পরীক্ষা চালিয়ে সফলতাও মিলেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, শুধু মরভূমিতেই নয়, ভবিষ্যতে কৃষিকাজে পানির ব্যবহার কমাবে তাদের উদ্ভাবিত কাদা। কোম্পানিটির আবিষ্কৃত এ তরল যৌগ কৃষিকাজে পানির ব্যবহার ৪৭ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে সক্ষম।

ডেজার্ট কন্ট্রোলের মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জ্যান ভ্যাডের বলেন, কৃষিকাজে প্রচুর পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে, ভবিষ্যতে পানির সংকট দেখা দিতে পারে। এছাড়া এর দামও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ফলে আমাদের এ পদ্ধতি ভবিষ্যতে কৃষিকাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে বলে আশা করছি।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাহিদাসহ নানা কারণে কমছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। আর তাই, এর ব্যবহার কমাতে বিভিন্ন বিকল্প খুঁজছে গবেষকরা। তারই ফল এই লিকুইড ন্যাচারাল ক্লে।

/এনএএস

Exit mobile version