Site icon Jamuna Television

লঙ্কান পেস তাণ্ডবে বিপর্যয়ে আমিরাত

ছবি: সংগৃহীত

পরাজয় মানেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বে না খেলেই ফিরতে হবে দেশে। এমন সমীকরণ সামনে নিয়ে শ্রীলঙ্কা সামনে এই মুহূর্তে পরাজয়ের শঙ্কা খুব একটা নেই। ব্যাট হাতে লঙ্কানদের সাদামাটা স্কোরকেও আমিরাতের সামনে পেসাররা বানিয়ে ছেড়েছেন হিমালয়ের মতো বিশাল। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার দেয়া ১৫৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে গিয়ে ১৩ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে আরব আমিরাতের সংগ্রহ মাত্র ৫০ রান।

অথচ কার্তিক মেয়াপ্পানের হ্যাটট্রিকের কীর্তিতে উজ্জীবিত হয়ে শ্রীলঙ্কার উপর ছড়ি ঘোরাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, এমন আশা করাটা মোটেও বেশি ছিল না। তবে তাতে বাধ সাধলো লঙ্কান পেস ব্যাটারি। তৃতীয় ওভারে দুশ্মন্ত চামিরার বলে প্লেইড অন হয়ে ফিরে যান মুহাম্মাদ ওয়াসিম। ওই ওভারের শেষ বলে আরিয়ান লাকরাকে বোল্ড করে শ্রীলঙ্কাকে ম্যাচে দারুণভাবে ফিরিয়ে আনেন চামিরা। এক ওভার বিরতি দিয়ে আমিরাত অধিনায়ক চুন্দাঙ্গপোয়িল রিজওয়ানকেও ফিরিয়ে দেন এই ডানহাতি ফাস্ট বোলার। আরে এই তিনটি ঘটনাই ঘটে দলীয় ১৫ থেকে ১৯ রানের মধ্যে।

ছবি: সংগৃহীত

এ পর্যন্ত আমিরাত ইনিংসে একমাত্র দুই অঙ্কের রান পাওয়া চিরাগ সুরিকে সরাসরি বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান প্রমোদ মাদুশান। এরপর বাসিল হামিদকে ফেরান দাসুন শানাকা। পেসারদের এমন তাণ্ডব এবং প্রতিপক্ষ লেগস্পিনারের হ্যাটট্রিকের দিনে চুপচাপ বসে থাকেননি ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তিনি বোলিং আক্রমণে এসে শিকার করেন আরও দুই উইকেট।

এর আগে, কার্তিক মেয়াপ্পানের হ্যাটট্রিকের পর পাথুম নিশাঙ্কার সংগ্রামী অর্ধশতকে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। জয় থেকে এমন অবস্থায় বেশ দূরেই আছে আরব আমিরাত। তাদের এখনও প্রয়োজন ৪২ বলে ১০৩ রান।

আরও পড়ুন: মেয়াপ্পানের হাতে চলতি বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক

/এম ই

Exit mobile version