Site icon Jamuna Television

‘নতুন’ প্রস্তাবে আগের আলোচনাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে মিয়ানমার

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে মিয়ানমারের ‘নতুন’ প্রস্তাব এখন ঢাকার টেবিলে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করে নেপিদোর সেই বার্তা পৌঁছে দেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আগ্রহ প্রকাশ করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। তবে ‘নতুন’ বলা হলেও তাদের প্রস্তাবে আদতে কোনো নতুনত্ব নেই। প্রত্যাবাসনের তারিখ নির্ধারিত হয়নি। ভেরিফিকেশনের পর এ কার্যক্রম শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে ভেরিফিকেশন নিয়েও সেই পুরনো জটিলতা আছে।

বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বসেন চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এ বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকটের পাশাপাশি গুরুত্ব পায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত উত্তেজনার ইস্যুগুলোও।

বৈঠক শেষে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানান, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে আগের আলোচনাকে প্রাধান্য দিচ্ছে মিয়ানমার। আর প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদেরকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দেখাতে হবে- এরকম শর্ত দিয়েছে ওরা। কিন্তু, আসার সময় রোহিঙ্গারা তো জীবন হাতে নিয়ে পালিয়ে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই তারা কোনো ডকুমেন্ট আনতে পারেনি। কিন্তু, মিয়ানমার এখন ডকুমেন্ট চায়। ওরা কিছু ব্যক্তিকে অ্যাপ্রুভ করেছে কিন্তু দেখা গেছে যে মাকে অ্যাপ্রুভ করলে তার বাচ্চাকে অ্যাপ্রুভ করেনি বা বাচ্চার বাবাকে অ্যাপ্রুভ করেনি। মানে, ফ্যামিলিগুলোকে ভেঙে ফেলেছে। এভাবে কী হয়? এসব নিয়ে আমরা দেন দরবার করছি।

তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মনের ব্যাপার। এসব ছোটখাটো কাগজপত্রের ভেরিফিকেশনের ব্যাপারগুলো ভুলে যেতে হবে। এসব নিয়েই আমরা আলোচনা করেছি।

এ সময়, বাংলাদেশ সীমান্তে আর মর্টারশেল পড়বে না- বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত। আলোচনায় জিরো লাইনে থাকা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

ব্রিফিংয়ে, জাপান সরকারকেও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহায়তার অনুরোধ করার কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

/এসএইচ

Exit mobile version