Site icon Jamuna Television

রাশানদের উপস্থিতিতে সরগরম রূপপুর, স্থানীয়রাও শিখে গেছেন রুশ ভাষা

রূপপুরের স্থানীয় রেসটুরেন্টে বিদেশিদের আধিক্য।

মাহফুজ মিশু:

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কল্যাণে ঈশ্বরদীর রূপপুরে রাশিয়ান নাগরিকদের আনাগোনা এখন প্রতিনিয়ত। ফলে রূপপুর যেন পরিণত হয়েছে ‘রুশপুর’এ। রাস্তাঘাট, দোকানপাট, হোটেল-রেঁস্তোরা, সেলুন সব স্থানেই রাশিয়ানদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। দোকানপাটের নাম ও সাইনবোর্ড সবকিছুতেই রুশ ভাষার দেখা মিলছে। পারমাণবিক প্রকল্পে কর্মরত এসব রাশানরা বাংলাদেশিদের আচার ব্যবহার আর এদেশের ফলমূল- সবজি থেকে শুরু খাবারের বিভিন্ন মেন্যু নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। বিদেশিদের সাথে রুশ ভাষায় কথা বলছেন স্থানীয়রাও।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এখন কাজ করছেন রাশিয়ানসহ প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বিদেশি। তাদের থাকা-খাওয়া থেকে শুরু করে আনন্দ-বিনোদন সব কিছুরই ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে। এ অঞ্চলের হাট-বাজার, রাস্তাঘাট সবকিছুর সাথেই যেন মিশে গেছেন রাশিয়ানরা। এমনকি দামদর করে বাজার থেকে কেনাকাটা করাও শিখে গেছেন রুশরা।

কেনাকাটা শেষে এক রুশ নারী বলেন, ফল আর সবজির দাম রাশিয়ায় অনেক। তাই এখান থেকেই কেনাকাটা করি বেশির ভাগ সময়।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চললেও এখানে এক ছাদের নিচেই দু’দেশের অনেক নাগরিক কাজ করছেন। পাশাপাশি বেলারুশসহ আরও কয়েকটি দেশের মানুষ কর্মরত আছেন রূপপুরে। তবে ব্যবসায়ীরা জানালেন, যুদ্ধের পর বেচাকেনা কমেছে খানিকটা। ব্যবসায়ীরা বললেন, আগের থেকে যুদ্ধের কারণে বেচাকেনা খানিকটা কমে গেছে।

গ্রাহকরা যেহেতু বেশিরভাগই রাশান, তাই তাদের ভাষাটাও শিখে ফেলেছেন এখানকার দোকানিরা। তবে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো উদ্যোগ ছিল না এই ভাষা শেখার। তারা বলেন, রুশদের সাথে কথা বলতে বলতেই ভাষাটা শিখে গিয়েছি। ফলে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে এখন বেশ সুবিধা হয়।

কাজ শেষে সন্ধ্যায় ফিরে কেনাকাটা আর আড্ডায় মেতে ওঠেন তারা। সেক্ষেত্রে তাদের পছন্দের শীর্ষে বাংলাদেশি খাবার, বিশেষ করে বিরিয়ানি মন জয় করেছে রাশানদের। এক রুশ নাগরিক বলেন, রাইস আর চিকেন বিরিয়ানি সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। দোকানিরা জানান, মাংস জাতীয় খাবারই রাশানরা বেশি পছন্দ করেন। কাজ শেষে এ দেশ ছেড়ে চলে গেলেও রাশানরা মনে রাখবেন বাংলাদেশের মানুষের আন্তরিকতা, এমনটাই জানালেন তারা।

এসজেড/

Exit mobile version