Site icon Jamuna Television

ইউক্রেনে সাম্প্রতিক ড্রোন হামলা ইস্যুতে জাতিসংঘে তোপের মুখে রাশিয়া

জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ প্রতিনিধি ভ্যাসেলি নেবেনজিয়া।

ইউক্রেনে ইরানি ড্রোন হামলা নিয়ে জাতিসংঘে পশ্চিমা দেশগুলোর তোপের মুখে পড়েছে রাশিয়া। নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠকে মস্কোকে রীতিমতো তুলোধুনো করেছে পশ্চিমা সদস্যগুলো। ইরানের কাছ থেকে ড্রোন সংগ্রহ এবং ইউক্রেনে হামলা ইস্যুতে বিশেষ তদন্তের আহ্বানও জানায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বাকি সদস্য দেশগুলো। এদিকে, তদন্ত হলে জাতিসংঘের সাথে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার হুঁশিয়ারী দিয়েছে রাশিয়ার।

একের পর এক রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন হামলায় যখন বিপর্যস্ত ইউক্রেন; তখন জাতিসংঘে চলছে কথার লড়াই। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি এক অধিবেশন বসে। এ সময় পশ্চিমা দেশগুলোর তোপের মুখে পড়ে মস্কো।

যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রিটেনসহ নিরাপত্তা পরিষদের পশ্চিমা সদস্যগুলোর অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞায় থাকা ইরান থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে আইন ভঙ্গ করেছে রাশিয়া। ইরানের ড্রোন নিয়ে ইউক্রেনে হামলার ঘটনাকে জাতিসংঘ নীতির সস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে আখ্যা দেয়া হয়। দাবি করা হয় তদন্তের।

জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধি জেফরি ডেলোরন্টিস বলেন, গেলো আগস্ট থেকে রাশিয়াকে শহিদ এবং মোহাজের ড্রোন সরবরাহ করছে ইরান। যা জাতিসংঘ সনদের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এরইমধ্যে আমরা প্রমাণ পেয়েছি যে, গত ১০ অক্টোবর থেকে ইউক্রেনের বেসামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে এসব ড্রোন দিয়েই হামলা চালানো হচ্ছে। তাই, অবিলম্বে এ ইস্যুতে জাতিসংঘের উচিত তদন্ত করা।

জাতিসংঘে নিযুক্ত জার্মান প্রতিনিধি অ্যান্তজি লিন্দ্রিস্তে বলেন, রাশিয়া যে অপরাধ করেছে তা জাতিসংঘের নীতিমালার স্পষ্ট লঙ্ঘন। নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হয়েও এ ধরনের অপরাধের কোনো সুযোগ নেই। এটা পরিষ্কার যে রাশিয়াকে বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে।

এ অবস্থায় পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে রাশিয়া। সীমা লঙ্ঘন করলে জাতিসংঘের সাথে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে মস্কো।

জাতিসংঘে নিযুক্ত রুশ প্রতিনিধি ভ্যাসেলি নেবেনজিয়া বলেন, যে অভিযোগে তদন্তের আহ্বান জানানো হচ্ছে তা ভিত্তিহীন। পশ্চিমা দেশগুলোকে তুষ্ট করতে যদি জাতিসংঘ এই এককেন্দ্রীক তদন্ত চালায় তাহলে, সংস্থাটির সাথে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করবে রাশিয়া।

এদিকে, ইউক্রেন ইস্যুতে ফোনালাপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দুই প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তবে শুক্রবার রাতে হওয়া ওই ফোনালাপের বিষয়বস্তু কী ছিলো তা এখনও স্পষ্ট করেনি কোনোপক্ষই। এর আগে, সর্বশেষ ১৩ মে ফোনালাপ হয় মস্কো ও ওয়াশিংটনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর।

/এসএইচ

Exit mobile version