Site icon Jamuna Television

অস্ত্রখাতে অর্থ বরাদ্দ কমাতে বাধ্য হচ্ছে জার্মানি

ছবি: সংগৃহীত

বছরের শুরুর দিকে অস্ত্র খাতে বিপুল বরাদ্দের ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত খাতটিতে বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিচ্ছে জার্মানি। কিন্তু কী কারণে এই খাতে বরাদ্দ কমাচ্ছে ইউরোপের ধনী দেশটি?

হ্যান্ডেলসব্ল্যাক পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বড় রকমের মুদ্রাস্ফীতি এবং ইউরোর বিপরীতে ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের কারণে এই সিন্ধান্ত নিচ্ছে ওলাফ শোলজ প্রশাসন। সামরিক সরঞ্জামাদি কেনার ক্ষেত্রে ব্যয় অনেক বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটেই বছরের শুরুর দিকের ঘোষণা থেকে সরে আসতে বাধ্য হচ্ছে বার্লিন।

জার্মানির একাধিক রাজনীতিবিদ ও প্রতিরক্ষা শিল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কয়েক বছর ধরে মার্কিন চাপের মুখে অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনার ঘোষণা দিয়েছিল জার্মানি। কিন্তু সেটি থেকে সরে আসতে হচ্ছে। অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর বেশ কিছু প্রকল্প বাতিল করা হতে পারে।

তারা জানান, কে-১৩০ করভেটের তৃতীয় চালান গ্রহণের বিষয়টিও ঝুলে গেছে। পাশাপাশি আটকে গেছে ইলেকট্রনিক ওয়ার ফেয়ারের জন্য নতুন ইউরো ফাইটার কেনা। এছাড়া, ফ্রিগেট ও সেল্ফ প্রোপেল্ড হাউটজারও কেনা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এ সমস্ত সামরিক সরঞ্জামের পুরনো মডেলগুলো ইউক্রেনকে দেয়া হয়েছে এবং এই শূন্যস্থান পূরণ করার কথা ছিল। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকট দেখা দেয়ার পর এসব পরিকল্পনা বাতিল করা হয়েছে।

ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো মস্কোর বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস ইউরোপের বাজারে যাওয়া অনেক কমে যায়। একপর্যায়ে তা প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে ইইউ জোটের দেশগুলাতে জ্বালানির দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে, একইসাথে বেড়েছে মুদ্রাস্ফীতিও।

এএআর/

Exit mobile version