Site icon Jamuna Television

যশোর সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ পাচার, থামছেই না চোরাচালান

যশোরের বেনাপোল ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান থামছেই না। মাঝে-মধ্যেই স্বর্ণের বার ও চোরাকারবারী বিজিবি’র হাতে আটক হলেও বেপরোয়া এই সিন্ডিকেট। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৭৫ কেজি স্বর্ণ জব্দ করেছে বিজিবি। স্থানীয়রা বলছেন, মাঝে-মধ্যে বাহকরা ধরা পড়লেও মূল হোতারা থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরেই।

প্রতিবেশী দেশ ভারতে স্বর্ণের বিপুল চাহিদা এবং আমদানি শুল্ক বেশি হওয়ায় বাংলাদেশকে স্বর্ণ চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহার করে চোরাকারবারিরা। যশোর, চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলা দিয়ে পাচার হয় স্বর্ণের বার।

রাজধানীর সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় স্বর্ণ চোরাচালানের অন্যতম রুট যশোরের শার্শা উপজেলার সীমান্ত। বিশেষ কোরে বেনাপোলের অগ্রভুলাট, রুদ্রপুর, সাদীপুর, শিকারপুর, কায়বা ও পুটখালীসহ কয়েকটি সীমান্তে চোরাকারবারিদের তৎপরতা বেশি বলে জানায় স্থানীয়রা। বিজিবি’র অভিযানে মাঝে-মধ্যে স্বর্ণের চালান ও চোরাকারবারিরা আটকও হচ্ছে। তবে থামছে না চোরাচালান।

স্থানীয়রা জানায়, স্বর্ণের চালান আসার পর তা ছোট ছোট ভাগে ভাগ করা হয়। পরে এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষকে বাহক হিসেবে ব্যবহার করে সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার করা হয়। বিজিবি’র অভিযানে মাঝে-মধ্যে এসব বাহকরা আটক হলেও মূল হোতারা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরেই।

বিজিবি বলছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত বেনাপোল ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন সীমান্ত থেকে ৭৫ কেজি স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ১২ জনকে।

৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকী যমুনা নিউজকে বলেন, স্বর্ণ চোরাচালানে সাথে গডফাদাররা জড়িত। কিন্তু তারা সরাসরি পাচারে সম্পৃক্ত না থাকায় ধরা যায় না।

স্বর্ণ চোরাচালান ঠেকাতে সীমান্তে কঠোর নজরদারির পাশাপাশি স্থানীয়দের সচেতন করার ওপরও গুরুত্ব দিয়েছে বিজিবি।

এটিএম/

Exit mobile version