Site icon Jamuna Television

ইউরোপের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে ন্যাটো

‘স্টিডফাস্ট নুন’ নামে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে সামরিক জোট ন্যাটো। দুই সপ্তাহব্যাপী উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউরোপের এই অনুশীলনে যুক্ত রয়েছে ১৪টি দেশ। যা চলবে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত। অবশ্য এরসাথে চলমান রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বা পরমাণু অস্ত্র হুমকির কোনো যোগসূত্র নেই, এমনটা সাফাই গাইছেন ন্যাটো মহাসচিব।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও বলছেন, নিজেদের সুরক্ষার জন্যই সামরিক জোটকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ রাখা প্রয়োজন। খবর রয়টার্সের।

গতকাল বুধবার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় নাসার উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে একডজন হাইপারসনিক মিসাইলের পরীক্ষায় চালায় মার্কিন সেনা ও নৌবাহিনী। পেন্টাগন জানায়, শব্দের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি ছিল অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রগুলোর গতি। ঘণ্টায় ৬ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় একেকটি ক্ষেপণাস্ত্র।

জো বাইডেনের দাবি, নিজ সক্ষমতা খতিয়ে দেখতেই এ কার্যক্রম। পাশাপাশি মিত্র ইউক্রেন এবং ন্যাটোবহরে সহযোগিতা বৃদ্ধিও অন্যতম লক্ষ্য।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর মিত্র দেশগুলো ইউক্রেনের পাশেই আছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যেন দেশটি শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে, সেটাই লক্ষ্য। ক্রমবর্ধমান হুমকির মধ্যে ন্যাটোকে শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ রাখা আমাদের কতর্ব্য। শক্তিমত্তা যাচাইয়ের জন্যেই চলছে সামরিক জোটের মহড়া। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় বাড়ানো হচ্ছে পরিসর। এর মাধ্যমে গড়ে তোলা হবে উন্মুক্ত, সমৃদ্ধ ও সুরক্ষিত বিশ্ব।

এদিকে, ইউরোপের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অব্যাহত রয়েছে ন্যাটোর বার্ষিক মহড়া স্টিডফাস্ট নুন। ফোর্থ ও ফিফথ জেনারেশন ফাইটার জেটের পাশাপাশি সক্ষমতা ঝালাই করে নিচ্ছে ৬০টির বেশি যুদ্ধবিমান। রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বি-ফিফটি টু বোমারু বিমানও। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালে ন্যাটোর এ পেশীশক্তি প্রদর্শন নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সেই বিতর্ক সাফ অস্বীকার করেছেন জোটটির মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ।

ন্যাটো মহাসচিব বলেন, স্টিডফাস্ট নুন অনুশীলনের সাথে রুশ মহড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত চলা এ প্রশিক্ষণ সামরিক জোটের বাৎসরিক কার্যক্রম। এর সাথে বিশ্বের চলমান ঘটনাবলীর যোগসূত্র খোঁজাটা অযৌক্তিক। বাল্টিক সামুদ্রিক অঞ্চলে বাড়ানো হচ্ছে ন্যাটোর শক্তিমত্তা। ইতিহাসে প্রথমবার এতটা ঐক্যবদ্ধভাবে মহড়া চালাচ্ছে সদস্য রাষ্ট্রগুলো। খুব শিগগিরই সেই কর্মসূচিতে যোগ দেবে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড।

/এমএন

Exit mobile version