Site icon Jamuna Television

অবশেষে সমুদ্রসীমা চুক্তিতে সম্মত ইসরায়েল-লেবানন, গ্যাস সংকট লাঘবের আশা ইউরোপে

দীর্ঘ আলোচনা ও দর কষাকষির পর ঐতিহাসিক সমুদ্রসীমা চুক্তি স্বাক্ষর করলো ইসরায়েল ও লেবানন। এর ফলে বিরোধপূর্ণ গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সংকট লাঘব হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, রাশিয়ার চোখ রাঙানি এড়িয়ে এবার শীতকালীন গ্যাস সংকট অনেকখানি সমাধান হবে ইউরোপে। খবর আল জাজিরার।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সমঝোতায় স্বাক্ষর করে দ্বন্দ্বে লিপ্ত দেশ দুটি। একে বড় বিজয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছে লেবাননের সংগঠন হিজবুল্লাহ। আলোচিত এ চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী ইয়াইর লাপিদ এবং লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আওন। এর মধ্য দিয়ে সমুদ্রের তলদেশের বিরোধপূর্ণ গ্যাস ক্ষেত্রগুলো থেকে গ্যাস আহরণের পথ খুলে গেল।

বিরোধীদের সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরকে কূটনৈতিক অর্জন হিসেবে দেখছে লাপিদ প্রশাসন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ইয়ার লাপিদ বলেন, এটা নিঃসন্দেহে কূটনৈতিকভাবে একটা বড় অর্জন। গ্যাসক্ষেত্র থেকে ইতোমধ্যে উত্তোলনকাজ শুরু হয়েছে। এখন থেকে ইউরোপের অন্যতম সরবরাহকারী হয়ে উঠবো আমরা। এমন একটা সময়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো যখন গোটা বিশ্ব তীব্র জ্বালানি সংকটে রয়েছে। কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি চুক্তি সম্পর্কিত সবাইকে। আমরা অত্যন্ত খুশি।

অমীমাংসিত সমুদ্রসীমা নিয়ে দ্বন্দ্বের অবসানকে লেবাননের বিজয় হিসেবে দেখছে লেবাননের সংগঠন হিজবুল্লাহ। তবে চুক্তি হলেও ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়া বা কোনো সম্পর্ক স্থাপন হবে না বলে সাফ জানিয়েছে বৈরুত।

হিজবুল্লাহ নেতা সৈয়দ হাসান নাসরাল্লাহ বলেন, এই চুক্তি লেবানন এবং দেশবাসীর জন্য একটি বড় জয়। এর মাধ্যমে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়া বা সম্পর্ক স্বাভাবিক করা হয়নি। লাপিদ প্রশাসনের কথায়ও বিষয়টি অনেকটা স্পষ্ট। এই সমঝোতার ফলে লেবাননের ভঙ্গুর অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে আশাবাদী বৈরুত।

ভূমধ্যসাগরের কারিশ গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল প্রতিবেশী দুই দেশ ইসরায়েল ও লেবাননের মধ্যে। জলসীমার পুরো এলাকা নিজেদের দাবি করে আসছিল তেলআবিব। আর বিতর্কিত একাংশ নিজেদের বলে দাবি ছিল বৈরুতের। এনিয়ে প্রায় সংঘাতের মুখোমুখি হয় দেশ দুটি। এমনকি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার হুমকিও দেয় হিজবুল্লাহ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এ সমস্যার সমাধান হলো অবশেষে। তেমন হলে শীতকালীন সময়ে ইউরোপে গ্যাস আতঙ্ক অনেকটাই লাঘব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এসজেড/

Exit mobile version