Site icon Jamuna Television

প্রভাষকের স্ত্রীর সাথে অধ্যক্ষের ‘দুষ্টুমি’তে তোলপাড়

(অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরী)

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্যাসফিল্ড স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষের নারী কেলেংকারীর ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রোববার বিদ্যালয়ের গভর্নিং কমিটির সভায় অধ্যক্ষের নারী কেলেংকারির বিষয়টি প্রমাণিত হলে বিশ্বজিৎ ভাদুরী নামের ওই অধ্যক্ষ অপরাধ স্বীকার করে পদত্যাগ করেন। শিক্ষকের এমন আচরণকে ন্যক্কারজনক বলে মনে করছে বাংলাদেশ গ্যাসফিল্ড কর্তৃপক্ষ। যদিও মিডিয়ার সাথে কথা বলার সময় ভাদুরী বলেছেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার এবং ওই নারীর সাথে যা হয়েছে তা ছিল ‘দুষ্টুমি’।

এদিকে অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরী একই কলেজের এক প্রভাষকের স্ত্রীকে উত্যক্ত করতেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী গত ২৮ জুন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোম্পানী সচিব নসিবুজ্জামান তালুকদারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

লিখিত অভিযোগ বলা হয়েছে, অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরী এবং ওই প্রভাষক শহরের বিরাসারে একটি বাড়িতে পাশাপাশি ভাড়া থাকতেন। এতে অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ ভাদুরী প্রভাষকের স্ত্রীকে প্রায়ই বিরক্ত করতেন। কয়েকমাস আগে বিশ্বজিৎ ভাদুরী ওই গৃহবধুকে ফোন করেন। ফোনালাপটি রেকর্ড করেন ভুক্তভোগী নারী।

গত ২৭ জানুয়ারি চিনাইর বঙ্গবন্ধু অনার্স কলেজে উভয় পরিবার তাদের ছেলেমেয়ে নিয়ে একটি মেধাবৃত্তির অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখানে কলেজের অফিসের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে প্রভাষকের স্ত্রীকে জোর করে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বিশ্বজিৎ ভাদুরী। বিষয়টি ভুক্তভোগী নারী তাদের পরিবারকে জানালে তাদের সিদ্ধান্তে কোম্পানী সচিবের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ ভাদুরী নিজেকে ‘ষড়যন্ত্রের শিকার’ দাবি করে বলেন, ওই নারীর সঙ্গে যা ঘটেছে তা ছিলো ‘দুষ্টুমি’।

এ ঘটনায় গ্যাসফিল্ডের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, এতে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডের মান ক্ষুন্ন হয়েছে। এদিকে ঘটনার পরপর কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দুই দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন বলেন, অভিযোগ পেলে ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Exit mobile version