Site icon Jamuna Television

জনতার সুনামি ঠেকাতে সরকারকে চ্যালেঞ্জ ইমরানের

পিটিআইয়ের লংমার্চ। ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচনের দাবিতে রাজধানী ইসলামাবাদ অভিমুখে দ্বিতীয় লংমার্চ শুরু করেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) লাহোরের লিবার্টি চক থেকে লংমার্চ শুরু হয়। বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে লংমার্চের উদ্বোধন করেন দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জিও নিউজের প্রতিবেদন।

দাসত্ব মেনে নেবেন না বলে লংমার্চের দ্বিতীয় পথসভায় নিজের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন পিটিআই চেয়ারম্যান। এ সময় জনতার সুনামি ঠেকাতে সরকারে প্রতি চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন তিনি।

তিনি বলেন, চোরদের দাস হয়ে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। এই লংমার্চে রাজনীতি নেই, এটি সাধারণ কোনো আন্দোলনও নয়। এই কর্মসূচি হলো মুক্তির জন্য জিহাদ। এ সময় তিনি দেশকে মুক্ত করতে প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ নেতা-কর্মীদের।

লংমার্চে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সেনাবাহিনীর প্রতি প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমি কিছুই বলতে চাই না। আমি অনেক কিছু বলতে পারি। আমি চাই না পাকিস্তানের শত্রুরা, যারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে, তারা আমার কথা থেকে সুযোগ নিক। আমার কথায় সেনাবাহিনীর যাতে কোনো ক্ষতি না হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার এক নজিরবিহীন সংবাদ সম্মেলন করে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আনজুম বলেছেন, ক্ষমতায় থাকার সময় ইমরান খান তাঁর সরকারকে অবৈধ ও অসাংবিধানিকভাবে সমর্থন দিতে সেনাবাহিনীকে বলেছিলেন।

রাতে প্রথম দিনের মতো লংমার্চ কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। আজ (২৯ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় ফের লংমার্চ শুরুর কথা রয়েছে। আগামী ৪ নভেম্বর লংমার্চ রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নতুন নির্বাচনের দাবিতে দেশজুড়ে একের পর এক সমাবেশ করেছেন পিটিআই চেয়ারম্যান। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ মে ইসলামাবাদ অভিমুখে লংমার্চের ঘোষণা দেন। তবে সরকারে বাধায় কর্মসূচি সহিংস রূপ নিলে মাঝপথে হঠাৎ কর্মসূচি স্থগিত করেন তিনি।

এএআর/

Exit mobile version