Site icon Jamuna Television

আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগে হচ্ছে না ছাত্রলীগের সম্মেলন

বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন। সম্প্রতি বিভিন্ন সময় সম্মলনের দাবি তুলেছেন একাধিক ছাত্রনেতা। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের অফিসে শীর্ষ নেতাদের সাথেও সাক্ষাৎ করেন তারা। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সম্মেলনের জন্য নির্দেশনাও দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতৃত্বকে। তবে একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে হচ্ছে না ছাত্রলীগের সম্মেলন। এমনকি যুবলীগের সম্মেলনও এর আগে হবে না বলে দাবি সূত্রের।

আগামী ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ২২-তম জাতীয় সম্মেলন। জাতীয় নির্বাচন বিবেচনায় এবারের সম্মেলনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে প্রাচীন এই সংগঠনটি। একই সঙ্গে ছাত্রলীগসহ অন্যান্য ভাতৃপ্রতিম ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন করারও উদ্যোগ নিয়েছিল দলটি। এ বিষয়ে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার কথা জানিয়েছেন গণমাধ্যমে ও প্রকাশ্য সভায়।

তবে, শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় গুরুত্ব পেয়েছে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন বিষয়টিই। সেখানে অংশ নেয়া একাধিক দায়িত্বশীল নেতা জানিয়েছেন, এ বছরে ছাত্রলীগের সম্মেলন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আগামী বছরের জানুয়ারিতে ছাত্রলীগের ৩০-তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

তবে ডিসেম্বরের মধ্যে আওয়ামী মহিলা লীগ ও যুব মহিলা লীগের সম্মেলন হতে পারে। শিগগিরই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংবাদ সম্মেলনে তারিখ ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তাতে ছাত্রলীগের বিষয়টিও উঠে আসতে পারে।

ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দুই বছর পরপর হবে কেন্দ্রীয় সম্মেলন হওয়ার কথা। সে হিসাবে ২০২১ সালে ৩১ জুলাই বর্তমান কমিটির মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে। ২০১৮ সালের মে মাসে ছাত্রলীগের ২৯-তম কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি এবং গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। তবে মাত্র এক বছরের মাথায় অনিয়ম ও চাঁদাবাজির অভিযোগের মুখে তাদের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিতে হয়। সংগঠনের তৎকালীন এক নম্বর সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জয় ও লেখককে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

বেশ কয়েক দিন ধরেই সুপ্রাচীন ছাত্রসংগঠনটির একাধিক সহসভাপতিসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী নতুন নেতৃত্বের দাবি নিয়ে সোচ্চার। সম্মেলনের দিন তারিখ নিয়ে মধুর ক্যান্টিনে জবাবদিহিতার মুখোমুখিও হয়েছেন বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। তবে দৌড়ঝাঁপ নেতাকর্মীদের অপেক্ষা আরও বাড়ছে।

প্রসঙ্গত, গত ৭ মে আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সহযোগী সদস্যগুলোকে সম্মেলন করার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর গত ১০ মে সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সম্মেলন করার নির্দেশনা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

Exit mobile version