বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রতি বছর ক্ষতি হয় একশ কোটি ডলার। মোট জিডিপির যা প্রায় শূন্য দশমিক ৭ ভাগ। বায়ু দূষণের কারণে বছরে ক্ষতির পরিমাণ জিডিপির ৯ ভাগ। তবে ২০২৫ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বাড়তে পারে ব্যাপক। এসব তথ্য উঠে এসেছে বিশ্বব্যাংকের ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি ক্লাইমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্টে।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকালে বিশ্বব্যাংকের ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি ক্লাইমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট বাংলাদেশ প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বৃষ্টিপাত ৪ ডিগ্রি বাড়লে ২০২৫ সালে বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে পারে ২৭ সেন্টিমিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার কারণে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিও বাড়বে, বছরে যার আর্থিক পরিমাণ আনুমানিক ৩০ কোটি ডলার।
বিশ্বব্যাংক বলছে, এখন থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যর্থ হলে ২০৫০ সাল নাগাদ বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি হারানোর শঙ্কা রয়েছে। বাস্তুচ্যুত হতে হবে অনেক মানুষকে। ঝুঁকি মোকাবেলায় মধ্য মেয়াদের জন্য এক হাজার ২০০ কোটি ডলার প্রয়োজন বলেও জানায় বিশ্বব্যাংক। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার পরামর্শ দিয়েছে এই ঋণদাতা সংস্থাটি।
এসজেড/