Site icon Jamuna Television

সাতক্ষীরায় দালালের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত; পুলিশের সহায়তায় ফিরে পেলেন বাড়ি ও টাকা

ভূক্তভোগী আবুল হোসেন।

ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় ভিটেবাড়ি বন্ধক রেখে ছেলেকে পাঠান দুবাইয়ে। ছেলে বিদেশে পৌঁছানোর পর বুঝতে পারেন প্রতারকের খপ্পরে পড়েছেন দরিদ্র দিনমজুর আবুল হোসেন। বসতঘরটিও হারিয়ে ঠাঁই তখন গোয়াল ঘরে। স্থানীয়ভাবে বেশ কয়েকবার সালিশী বৈঠকেও মেলেনি সমাধান। অবশেষে সাতক্ষীরা এসপির দারস্থ হন এই দিনমজুর। এবার মিলেছে সমাধান, টাকার সঙ্গে ফিরে পেয়েছেন নিজের ঘরটিও।

সাতক্ষীরার ছোটকাশিপুর এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেন। সম্বল বলতে, পাঁচ শতক জমিতে জানালাবিহীন ঘর। প্রতারকের খপ্পরে পড়ে ছেলেকে দুবাই পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন আবুল। টাকা জোগাড় করতে বন্দক রাখেন ঘর। ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা তুলে দেন দালাল সবুর সরদারের হাতে। সেই দালাল ভ্রমণ ভিসায় ছেলে মিন্টুকে পাঠিয়ে দেয় দুবাই। সেখানে চালানো হয় নির্যাতন। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নিজ খরচে মিন্টুকে ফিরতে হয় বাড়ি। বসতভিটা হারিয়ে সর্বশান্ত পরিবারটির ঠাঁই তখন গোয়াল ঘরে।

বুঝতে পারার পর প্রতারণার ঘটনাটি জানানো হয় গ্রামের মুরুব্বীদের। তবে সালিশী বৈঠকেও মিলছিলো না সমাধান। উল্টো দালালের পক্ষ থেকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছিল পরিবারটিকে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে এক লাখ টাকা ও বাড়িটি ফিরে পান আবুল। এতে বেশ খুশি এলাকার মানুষও। যদিও টাকা নেয়া ও বিদেশ পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছে সবুর সরদার।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, সাতক্ষীরা জেলার সকল অফিসার ইনচার্জদের প্রতি আমার নির্দেশনা- এরকম কোনো প্রতারক চক্র যদি কখনও কোনো গরীব বা অসহায় মানুষকে এভাবে প্রতারণা করে তাহলে যেনো অবশ্যই তাদের পাশে দাঁড়ান। এসব প্রতারকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাঝেমধ্যে কিছু পুলিশ সদস্যের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সুনাম ক্ষুন্ন হয় গোটা পুলিশ বাহিনীর। আবার এমন ইতিবাচক কর্মকাণ্ডে জনগণের মাঝে আস্থার সঞ্চার হয় যে ‘সেবাই পুলিশের ধর্ম’।

/এসএইচ

Exit mobile version