মাছের চামড়ার ব্যাগ, এসব ব্যাগের মূল্য ৮৫০ ডলার পর্যন্ত

|

মাছের চামড়া দিয়ে বানানো হচ্ছে ব্যাগ। শুধু ব্যাগই নয়, তৈরি করা হয় জুতা, জ্যাকেটও। শুনতে অবাক লাগলেও ইউরোপ-আমেরিকার নামী-দামী সব প্রতিষ্ঠান তৈরি করে এসব পণ্য। ব্যবহার করা হয় ব্রাজিলের আমাজন নদীর পিরারুকু নামের মাছের চামড়া। বিলাসবহুল এসব পণ্যের দামও আকাশছোঁয়া। মাছের চামড়ার তৈরি একটি ব্যাগের দাম ৮৫০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে। খবর এপির।

পিরারুকু নামের বিশাল এই মাছ আমাজনের দু হাজার তিনশ প্রজাতির মাছের মধ্যে সবচেয়ে বড়। দৈত্যাকৃতির এই মাছ ১০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।

সুস্বাদু পিরারুকু ব্রাজিলে বেশ জনপ্রিয় খাবার। তবে এই মাছের রয়েছে অন্য ব্যবহারও। এর চামড়া দিয়ে বানানো হয় ব্যাগ, জুতা এমনকি জ্যাকেটের মতো পণ্য।

সাধারণত গরু, ছাগল, মহিষ- এমনকি কুমিড়ের চামড়ার বিভিন্ন পণ্য দেখা যায় বাজারে। পণ্য তৈরিতে মাছের চামড়ার ব্যবহার তেমন নেই। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ব্রাজিলের এই মাছ। মূলত টেকসই হওয়ায় পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয় এর চামড়া।

মূলত পিরারুকুর চামড়া ব্যবহার হয় ব্যাগ তৈরিতে। তবে দৃষ্টিনন্দন আর বিলাসবহুল এসব ব্যাগ সর্বসাধারণের সামর্থ্যের বাইরে। বিশ্বের সব নামীদামি ব্র্যান্ড এই মাছের চামড়া ব্যবহার করে। একেকটি ব্যাগের মূল্য সাড়ে আটশ ডলার পর্যন্ত হতে পারে যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮০ হাজার টাকার বেশি।

এ বিষয়ে পাইপার অ্যান্ড স্কাইয়ের হেড অব পিআর অ্যালিসন কলিন্স বলেন, পিরারুকু মাছ আমাদের পাইপার এবং স্কাই কোম্পানির প্রধান উপাদানগুলোর একটি। আমাজনের এই মাছ বহু শতাব্দি ধরে স্থানীয়রা খেয়ে আসছে। বিশাল এ মাছের চামড়া তারা বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেয়। তাদের সেই ফেলে দেয়া বর্জ্য আমরা নিউইয়র্কে এনে বিলাসবহুল আর সুন্দর এই ব্যাগগুলো তৈরি করি।

তবে পণ্য তৈরিতে পিরারুকুর চামড়া ব্যবহার বেশিদিনের নয়। কয়েক বছর আগেও বেশিরভাগ চামড়ার জায়গা হতো ময়লার ভাগাড়ে। সেগুলোর সংগ্রহ করে ব্যবসা শুরু করে রিও ডি জেনেইরোর একটি প্রতিষ্ঠান। এখন বছরে গড়ে ৫০ হাজার চামড়া বিক্রি করে তারা। তাদের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। মাছের এই চামড়া বিক্রি করা হয় ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও।

এটিএম/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply