টেলিভিশনে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্য সম্প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল শনিবার (৫ নভেম্বর)। তবে তীব্র সমালোচনার মুখে এর কয়েক ঘণ্টা পরই সে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয় শেহবাজ শরীফের সরকার। এ নিয়ে একটি বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেবের একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, সংবিধানের ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদ অর্থাৎ বাকস্বাধীনতা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। এর আওতায় ইমরান খানের বক্তব্য সম্প্রচারের ওপর যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, তা তুলে নেয়া হচ্ছে।
এর কয়েক ঘণ্টা আগেই দেশটির ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া অ্যান্ড রেগুলেটরি অথোরিটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, ইমরান খান তার ওপর বন্দুক হামলা নিয়ে মিথ্যাচার ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। তাই তার এ সংক্রান্ত বক্তব্য টেলিভিশনে সম্প্রচার বা পুনঃসম্প্রচারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো।
এর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেশটির তথ্যমন্ত্রীর প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা গণতান্ত্রিক নীতি এবং সাংবিধানিক মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, নেতা-কর্মী ও গণমাধ্যমকে নিষিদ্ধ করা ইমরান খানেরই নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ও মনোভাব। তাই যদি ইমরান খান সরকারের বিপক্ষে কথা বলতে চায়, তাকে বলতে দিন। কারণ যতো তিনি আমাদের বিরুদ্ধে জনগণের কাছে মিথ্যা তথ্য প্রচার করবে, ততো সত্য জনসাধারণের সামনে পরিষ্কার হবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) পাকিস্তানের ওয়াজিরাবাদে লংমার্চ চলাকালে ইমরানকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় হামলাকারীরা। অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি। দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। ইমরান খান বলেন, বৃহস্পতিবারের হামলায় তার পায়ে চারটি গুলি লেগেছে। আগেই তিনি জানতেন তার ওপর হামলা হবে। এ হামলার পেছনে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ এবং সেনাবাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তবে তার এ অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিশেষ করে একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পিটিআইয়ের চেয়ারম্যানের ভিত্তিহীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিযোগ একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী পেশাদার এবং সুশৃঙ্খল সংগঠন। আমাদের কর্মকর্তাদের ওপর ভিত্তিহীন অভিযোগগুলি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এটি তীব্র নিন্দাজনক। কাউকে দায়মুক্তিসহ প্রতিষ্ঠান বা সেনাদের মানহানি করতে দেয়া হবে না।
এসজেড/

