Site icon Jamuna Television

তৃতীয়বারের মতো পেছালো সাংবাদিক শাকিল হত্যাচেষ্টা মামলার রায়

যমুনা টেলিভিশনের সিনিয়র রিপোর্টার শাকিল হাসান ও ভিডিওজার্নালিস্ট শাহীন আলমকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার রায় তৃতীয়বারের মতো পেছালো। এদিকে, শাকিল হাসান হত্যাচেষ্টা মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত ঘটনার ফুটেজের ভিডিও তলব করেছেন আদালত। ফুটেজ দেখে আগামী ১৩ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করবেন সিএমএম আদালত।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন ঘটনার সময় ধারণকৃত মামলার জব্দকৃত সিডি প্রদর্শনের জন্য বিচারক রাষ্ট্রপক্ষকে আদেশ দেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক শাকিল হাসান বলেন, দায়িত্বরত সাংবাদিকের ওপর হামলার অর্থ শুধু ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আক্রান্ত করা নয় বরং এর অর্থ গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর হামলা। এ হামলার মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা আক্রান্ত হয়েছে। আমি দীর্ঘদিন ধরে মামলাটি চালাচ্ছি, কারণ আমি প্রমাণ করতে চাই সাংবাদিকের ওপর হামলা হলে বিচার হয়।

বাদীর আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভুঁইয়া জানান, সাক্ষ্য ও নথিতে মামলাটি প্রমাণিত হয়েছে। এই মামলার দৃষ্টান্তমূলক সাজা হলে তা সাংবাদিকদের ওপর হামলা বন্ধে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।

২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর পুরান ঢাকার দেবিদাস ঘাট এলাকায় অবৈধ পলিথিন উৎপাদন নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরিতে গিয়েছিলেন যমুনা টিভির সিনিয়র রিপোর্টার শাকিল হাসান ও ভিডিও জার্নালিস্ট শাহিন আলম। ফুটেজ নেয়ার সময় কারখানার মালিকরা টের পেয়ে হামলা করে তাদের ওপর। দু’জনকে মারধর করে ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। হামলা থেকে বাঁচতে পাশের মুদি দোকানে আশ্রয় নেন শাকিল। সেখানে গিয়ে আসামি রহিম গায়ে কেরাসিন ঢেলে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা করে শাকিল হাসানকে। ২০১৬ সালে ৬ নভেম্বর ঘটনার দিনই চকবাজার থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেন শাকিল। মামলার আসামি রহিম, জব্বার, জাকির, শাওন হাওলাদার, অভি ও হাবিবুর রহমান। এদের মধ্যে ৩ জনকে পুলিশ বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করেছিল। পরে সবাই জামিনে বের হয়।

সাক্ষীদের সাক্ষ্য শেষে এ বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করে দুই পক্ষ। ছয় বছর ধরে মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ওই দিনই রায়ের দিন ২০ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করেন সিএমএম আদালত রেজাউল করিম চৌধুরী। ২০ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার কথা থাকলেও ওই দিন রায় ঘোষণা পিছিয়ে ১৮ অক্টোবর নির্ধারণ করেন আদালত। পরে পিছিয়ে আবার ৮ নভেম্বর রায়ের দিন নির্ধারণ করেন সিএমএম আদালত। রায় ঘোষণার দিন আবার পিছিয়ে আগামী ১৩ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেন সিএমএস আদালত।

ইউএইচ/

Exit mobile version