Site icon Jamuna Television

পূর্বাঞ্চলে এক ইঞ্চি ভূমিও ছাড়বে না ইউক্রেন: জেলেনস্কি

ছবি: সংগৃহীত

পূর্বাঞ্চলে আর এক ইঞ্চি ভূমিও ছাড়বে না ইউক্রেন। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাশিয়ার প্রতি এ হুঁশিয়ারি দেন প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। দাবি করেন, ফ্রন্টলাইনে দখলদারদের উপযুক্ত জবাব দিচ্ছে কিয়েভের সেনারা। দোনেৎস্কে ঠেকানো হয়েছে রুশ বাহিনীর অগ্রযাত্রা। পুতিন বাহিনীর বহু সেনা হতাহত হয়েছে বলেও দাবি করেন। এদিকে, ক্রেমলিন বলছে, নতুন মোতায়েনকৃত সেনাদের পুনর্বিন্যাস চলছে দোনবাসে, সময় হলেই জোরদার হবে অভিযান। খবর অ্যাসোসিয়েট প্রেসের।

গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপক হারে রুশ বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির খবর আসছে গণমাধ্যমে। ফ্রন্টলাইনের আসল পরিস্থিতি জানতে মঙ্গলবার যৌথ টাস্কফোর্সের কমান্ড সেন্টার পরিদর্শনে যান রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। আলোচনার করেন যৌথ টাস্কফোর্সের প্রধান জেনারেল সের্গেই সুরোভিকিনের সাথে।

ক্রেমলিনের দাবি, সেনাদের পুনর্বিন্যাস ও বেসামরিকদের সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়ার কারণে কমানো হয়েছে হামলার মাত্রা। পরিকল্পনা অনুযায়ীই চলছে সবকিছু।

এদিকে কিয়েভ বলছে, এখনও আগ্রাসী পুতিন বাহিনী। তবে তাদের প্রতিহত করছে ইউক্রেনীয় সেনারা। দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের সীমান্তে রুশ ঘাঁটিতে হাউইটজার থেকে গোলাবর্ষণের কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, দোনেৎস্কের পরিস্থিতি জটিল। প্রতিদিন ডজন ডজন হামলা করছে দখলদাররা। তবে ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরোধে সামনে এগোতে পারছে না তারা। পূর্বে ধাপে ধাপে পুনরুদ্ধারের পথে আমাদের সেনারা। বাখমুত, সোলেদার ও আভদিভকায় তুমুল লড়াই চলছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, মস্কোর অনিচ্ছার কারণেই রুশ-ইউক্রেন সংকট সমাধানে কূটনৈতিক আলোচনা এগোচ্ছে না- বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ প্রসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, মস্কোর তরফ থেকে আলোচনার কোনো ইচ্ছা এ মুহূর্তে দেখতে পাচ্ছি না। কূটনৈতিক সমাধান চাইলে সবার আগে বেসামরিক টার্গেটে বোমাবর্ষণ থামাতে হবে। অবকাঠামো ধ্বংস, পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ওপর আঘাত বন্ধ করতে হবে। রাশিয়ার সুযোগ ছিল, আমাদের সংকেত দেয়ার।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ দাবি করেন, মস্কো বরাবরই প্রস্তুত হলেও কিয়েভই বারবার প্রত্যাখ্যান করছে আলোচনার সুযোগ। দখলকৃত অঞ্চল ছেড়ে দিলেই কেবল রাশিয়ার সাথে আলোচনায় বসতে রাজি জেলেনস্কি প্রশাসন।

/এসএইচ

Exit mobile version