Site icon Jamuna Television

গাইবান্ধায় ছাত্রলীগের হামলায় যুবলীগ কর্মী নিহত, আহত ৪

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সাঘাটায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর হামলায় মুকুল মিয়া (২৫) নামে এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া হামলার ঘটনায় আরও চার যুবলীগ কর্মী আহত হয়েছেন। নিহতের ঘটনার পর  বিক্ষুদ্ধ যুবলীগ নেতাকর্মীরা অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া রেল স্টেশন চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুকুল মিয়া বোনারপাড়া ইউনিয়নের শিমুলতাউর গ্রামের মোজাম মিয়ার ছেলে। মকুল ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার সমর্থিত সাঘাটা উপজেলা যুবলীগ কর্মী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া সমর্থিত সাঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে একই গ্রুপের (ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া সমর্থিত) যুবলীগ নেতাকর্মীদের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলায় যুবলীগের দুই কর্মী আহত হয়। ফলে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনার পর সন্ধ্যার দিকে যুবলীগ কর্মী মুকুল মিয়া বোনারপাড়া রেল ষ্টেশনের ওভার ব্রীজের নিচে চা খাচ্ছিলেন । এ সময় সাঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুল ইসলাম তার পক্ষের নেতাকর্মীদের নিয়ে মুকুল মিয়ার ওপর হামলা চালায়। এতে মুকুল ও তার সাথে থাকা আরও দুই যুবলীগ কর্মী আহত হয়।
আহত অবস্থায় মুকুলকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে, এ ঘটনার পর অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা আসাদুল ইসলাম ও অন্য নেতাকর্মীরা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করেছেন। পরে বিক্ষুদ্ধ যুবলীগ নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এছাড়াও ছাত্রলীগ সভাপতি আসাদুল ইসলামের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন তারা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, দুই গ্রুপের দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় এখনও লিখিত অভিযোগ করেনি নিহত মুকুলের পরিবার। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়াও ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
তবে, এ ঘটনায় ডেপুটি স্পীকার এ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়া ও সাঘাটা উপজেলা যুবলীগের একাধিক নেতার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনি।
যমুনা অনলাইন: আরএম/জিআর 
Exit mobile version