গত কয়েকদিন ধরে হিমালয়ের আশেপাশে ঘন ঘন ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটছে। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) নেপালসহ ভারতের দিল্লি ও উত্তরাঞ্চল কেঁপে ওঠে। এই ভূমিকম্পে নেপালে প্রাণ যায় ৬ জনের। এরপর বুধবার ও আজ বৃহস্পতিবারও ভারতের উত্তরাখন্ড ও অরুণাচলে কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের কারণ বিশ্লেষণ করে হিমালয়ের বাসিন্দাদের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছেন ভারতীয় ভূতত্ত্ববিদরা। খবর এনডিটিভি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারতের ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজির ভূপদার্থবিদ অজয় পাল। তিনি জানান, ভারত ও ইউরেশিয়ান প্লেটের মধ্যকার সংঘর্ষের কারণে হিমালয়ের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ভারতের প্লেটের ওপর ইউরেশিয়ার প্লেটের প্রবল চাপের ফলে যে শক্তি জমা হচ্ছে, তা সময়ের সাথে সাথে একটু একটু করে বেরিয়ে আসতে থাকে। ফলে হিমালয়ে ভূমিকম্প খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে সমানে বড় ধরনের ভূমিকম্প আসতে চলেছে।
তিনি আরও জানান, চাপের ফলে প্লেটগুলোর মধ্যে ঠিক কী পরিমাণ শক্তি জমা হয়েছে তা বলা মুশকিল। তবে সামনে যে বড় ধরনের ভূমিকম্প আসতে চলেছে রিখটার স্কেলে তার মাত্রা হতে পারে ৭ এর বেশি।
তাই সরকারকে আগে থেকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন এ ভারতীয় ভূতত্ত্ববিদ। তিনি বলেন, নেপাল ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। তবে তারা আগে থেকে নানা পদক্ষেপ নিয়ে রাখায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কম হয়। কিন্তু ভারতে হিমালয়বাসীদের এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা কম। তাই তাদের আগে থেকে সতর্ক করে রাখতে হবে, যাতে তারা বড় কোনো ভূমিকম্প আসলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে।
অবশ্য কবে নাগাদ এ ভূমিকম্প হতে পারে তা বলা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন অজয় পাল। তিনি বলেন, যে বড় ধরনের ভূমিকম্পের আশঙ্কা করা হচ্ছে, তা সামনের মাসেই হতে পারে। কিংবা হতে পারে আরও ১০০ বছর পর। নিশ্চিত করে কিছুই বলা যায় না।
এসজেড/

