শরীয়তপুরের পদ্মায় ধরা পড়ছে বড় আকৃতির পাঙ্গাস, দামও মিলছে বেশ। তবে, বেড়েছে ডাকাতের উৎপাত। ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে মাছসহ অন্যান্য মালামাল। এ অবস্থায় নৌপুলিশের টহল বাড়ানোর দাবি জেলেদের।
শরীয়তপুরের নড়িয়ার সুরেশ্বর বাজার। মাছ ধরে সেখানে বিক্রি করেন জেলেরা। জেলেদের দাবি, প্রচুর পরিমাণে ধরা পড়ছে পাঙ্গাস। আকারেও বেশ বড়। নদীর পাঙ্গাসের চাহিদা থাকায় ভালো দামও মিলছে। প্রতি কেজি পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা।
মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, ইলিশের প্রজনন মৌসুমে নদ-নদী উন্মুক্ত ছিল। সে উদ্যোগটি কাজে লেগেছে অন্য মাছের ক্ষেত্রেও।
নড়িয়া মৎস্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, গত নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত ১২ ইঞ্চির চেয়ে ছোট মাছ ধরা ও বহন করা আইনত নিষিদ্ধ ছিল। তার ফলই এখন পাচ্ছেন মৎসজীবীরা।
তবে মাছ আর দাম নিয়ে স্বস্তি থাকলেও আছে আতঙ্ক। জেলেদের দাবি, নদীতে বেড়েছে ডাকাতের উৎপাত। মাছের সাথে লুটে নেয়া হচ্ছে সব কিছু। চালানো হচ্ছে হামলা। মাঝিদের অভিযোগ, সিবোট নিয়ে আমাদের নৌকায় উঠে মাছ-মোবাইল-টাকা নিয়ে গেছে।
কয়েকজন মাঝি জানান, শনিবার (১২ নভেম্বর) রাতেও ডাকাতরা হামলা চালিয়েছে, মারধর করে টাকা-মাছ নিয়ে গেছে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যেনো আমরা জেলেরা নিরাপদে ঘাটে মাছ নিতে পারি।
এদিকে, নৌপুলিশ বলছে, নদীতে নিরাপত্তা জোরদার আছে; বাড়ানো হয়েছে টহল। এ প্রসঙ্গে সুরেশ্বর নৌপুলিশের ইনচার্জ আবু আব্দুল্লাহ বলেন, কোনো অভিযোগ এখনও পাইনি আমরা। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর উঠেছে মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা।
/এসএইচ

