Site icon Jamuna Television

বিশ্বকাপ ফাইনাল: কারেনের জবাব না জানা পাকিস্তানের ১৩৭ রানের মামুলি সংগ্রহ

স্যাম কারেন। ছবি: সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা বোলার স্যাম কারেন যেন তার নৈপুণ্যের শেষ কিস্তি জমা রেখেছিলেন সবচেয়ে বড় মঞ্চের জন্যই। মেলবোর্নের ফাইনালে এই বাঁহাতি পেসারের সুইং ও পেস বৈচিত্র্যের জবাব খুঁজে না পেয়ে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সামনে ১৩৮ রানের মামুলি টার্গেট দিয়েছে পাকিস্তান। ফাইনালের চাপ বিবেচনায় নিলে হয়তোবা অনিশ্চয়তার দেখা মিলবে মেলবোর্নে। তবে দেড়শোর বেশি পুঁজি গড়ার সম্ভাবনা জাগিয়েও ইংলিশদের চেপে ধরা বোলিং-ফিল্ডিংয়ে শেষ ৫ ওভারে মাত্র ৩১ রান তুলতে পেরেছে পাকিস্তান।

অবশ্য, শুরুতে বাবর-রিজওয়ানের ব্যাটে স্থিতিশীল সূচনাই পেয়েছিল পাকিস্তান। ইংলিশ বোলারদেরই দেখা গেছে স্নায়ুচাপে ভুগতে। তবে, সময়ের সাথে সাথে নিজেদের পারফরমেন্স খুঁজে পায় ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণ। এর সর্বাগ্রে থাকবেন স্যাম কারেন। দলকে কেবল প্রথম সাফল্য এনে দেয়াই নয়, নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সাথে দ্বিতীয় স্পেলে তিনি তুলে নিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ দুইটি উইকেট।

বোলিং আক্রমণ নো দিয়ে শুরু করেছে ইংল্যান্ড। বেন স্টোকসের মতোই কিছুটা নার্ভাস মনে হয়েছে ক্রিস ওকসকেও। সময়ের সাথে ওকস তার লাইন লেংথ খুঁজে পেয়েছেন। তবে কারেনের মধ্যে সেসব দেখা যায়নি। রিজওয়ানকে ক্রিজে থিতু হওয়ার সুযোগ না দিয়েই ইনসুইঙ্গারে খুঁজে পেলেন এজ। স্ট্যাম্প হারিয়ে সাজঘরে ফেরেন ১৪ বলে ১৫ রান করা রিজওয়ান।

কারেনের সাথে বলতে হয় আদিল রশিদের কথাও। পাওয়ার প্লের পর আক্রমণে এসেই বিপজ্জনক মোহাম্মদ হারিসকে সাজঘরে পাঠিয়েছেন এই লেগি। এরপরে দারুণ গুগলিতে বাবর আজমকে বোকা বানিয়ে পাঠিয়েছেন সাজঘরে। রিজওয়ান ও হারিসের বিদায়ের পর পাকিস্তানের সংগ্রহ বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দেন বাবর-শান। কিন্তু আদিল রশিদের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে ২৮ বলে ৩২ রান করে আউট হন বাবর আজম। ইফতিখার আজ তেমন সুবিধা করতে পারেননি। বেন স্টোকসের বলে দ্রুতই সাজঘরে ফিরে যান এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।

জোড়া আঘাতের পর শান মাসুদ ও শাদাব খান স্বল্প সময়েই তুলে ফেলেন ৩৬ রান। কিন্তু কারেন আবার আক্রমণে এসেই ফেরান শান মাসুদকে। পরের ওভারেই শাদাব খানের উইকেট তুলে নেন ক্রিস জর্ডান। এরপর আর খুব বেশি কিছু করার সুযোগই থাকেনি পাকিস্তানের। ৪ ওভারে ১২ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন স্যাম কারেন। আদিল রশিদ ও ক্রিস জর্ডান নিয়েছেন দুইটি করে উইকেট।

/এম ই

Exit mobile version