
রিয়াজ রায়হান:
আছে বিচারক স্বল্পতা, নেই পর্যাপ্ত এজলাস। এ রকম নানা সংকট কাঁধে নিয়ে মামলা নিষ্পত্তিতে রেকর্ড গড়েছে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত। এক বছরে তিন লাখের বেশি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে এই আদালতে। সবার সম্মিলিত পদক্ষেপে এমন নজির স্থাপন সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি ও আইনজীবীরা।
ঢাকা মূখ্য মহানগর হাকিমের আদালত সূত্রে পাওয়া হিসেব বলছে, গেলো বছরের জুনে মামলার সংখ্যা ছিল প্রায় দুই লাখ পঁচাত্তর হাজার। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নতুন দুই লাখ তের হাজারসহ মোট মামলার সংখ্যা দাঁড়ায় চার লাখ উননব্বই হাজারে। আর এই সময়ে নিস্পত্তি হয়েছে প্রায় সাড়ে তিনলাখের বেশি মামলা। এখন নিস্পত্তির অপেক্ষায় আছে মাত্র দেড় লাখ মামলা।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুল্লাহ আবু বলেন, সাক্ষী দিতে বেশি আসছে। আমি মনে করি, পুলিশের যে দায়িত্ব ছিল, সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা, সেটি তারা করছে। প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকেও মামলাগুলো শেষ করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করা হচ্ছে। আর তাতে মামলা নিষ্পত্তির হার বেশি।
ঢাকা মহানগরে পঞ্চাশটি থানার বিপরীতে এই আদালতে বিচারক আছেন সাঁইত্রিশজন। সবমিলিয়ে দিনে বিচারকাজে অংশ নিতে পারেন আঠাশজন। আছে কর্মকর্তা-কর্মচারি সংকট। সম্প্রতি সংসদ অধিবেশনে নিম্ন আদালতে বিচারক সংকটের কথা উল্লেখ করে এর সমাধানে নানা পদক্ষেপের কথা জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আর আইনজীবীরা বলছেন, বিচারকের সংখ্যা বাড়লে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের এখানে কিছু সমস্যা আছে। যেমন, এজলাস সংকট আছে। এজলাস, বিচারকের সংখ্যা যদি আরও বাড়ানো যায় তাহলে প্রতিটি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।
সিএমএম আদালতে মামলাজট নিরসন খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। এতো সংকটেও কীভাবে এটি সম্ভব হয়েছে, তা জানিয়েছেন আদালতের কর্মকর্তারা।
সিএমএম কোর্টের নাজির রেজোয়ান খন্দকার বলেন, মামলা নিষ্পত্তির জন্য প্রতি মাসের শুরুতে বিচারকদের সঙ্গে বৈঠক করেন চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। মাসের শেষে আবার মামলা নিষ্পত্তির পরিসংখ্যানগুলো নেন তিনি। যাদের মামলা নিষ্পত্তি বেশি হয়েছে, উনাদের পুরস্কার দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন উনি।
মামলাজট কমানোর পাশপাশি বিচারপ্রার্থীর দুর্ভোগ কমাতেও নানা কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে সিএমএম এর বরাত দিয়ে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
/এমএন
 
				
				
				
 
				
				
			


Leave a reply