Site icon Jamuna Television

নৌকার আদলে তৈরি কাতারের আল জানুব স্টেডিয়াম

৫০ হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের সক্ষমতা নিয়ে নৌকার আদলে তৈরি কাতার বিশ্বকাপের ভেন্যু আল জানুব স্টেডিয়াম। ঢেউখেলা ছাদ আর ওয়াকরাহ সমুদ্রের ইতিহাস নির্ভর করে বানানো অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ এই স্টেডিয়াম। ভেন্যুটির স্পোর্টস কমপ্লেক্সে রয়েছে মাল্টিপারপাস হল, সুইমিং পুল, স্পা এবং সবুজ ছাদসহ একটি শপিং সেন্টারও। আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে এই ভেন্যুতেই অনুষ্ঠিত হবে ৭টি ম্যাচ।

পাখির চোখে প্রথম দেখায় মনে হবে কোনো নৌকার পাল। তবে নৌকার পাল না হলেও এটি আসলে নৌকার আদলে তৈরি এক ভেন্যু। দোহা থেকে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম এক ভেন্যু আল জানুব স্টেডিয়াম। পারস্য উপসাগরের স্রোত বেয়ে চলা ধো নামের ঐতিহ্যবাহী এক নৌকার পালের আকৃতিতেই নির্মাণ করা হয় ভেন্যুটি। সমুদ্রে মাছ ধরা ও মুক্তা আহরণের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে বিশেষ এই নৌকা।

একটা সময় ভেন্যুটি পরিচিত ছিল আল ওয়াকরাহ নামেই। পরবর্তীতে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নামকরণ করা হয় আল জানুব স্টেডিয়াম। ভেন্যুটির ডিজাইনার প্রখ্যাত ব্রিটিশ-ইরাকি নারী স্থপতি জাহা হাদিদ।

২০১৪ সালে স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ২০১৯ সালে। স্টেডিয়ামটি তৈরিতে মোট খরচ হয়েছে ৬৫৬ মিলিয়ন ডলার। ঢেউখেলা ছাদ আর ওয়াকরাহ সমুদ্র ভ্রমণের ইতিহাসের আদলেই বানানো হয়েছে স্টেডিয়ামটি। এর ভেতর থেকে অনুভূতিটা অনেকটা জাহাজে থাকার মতোই। ২০২০ সালে এই ভেন্যুতেই আয়োজিত হয়েছিল এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল।

ভেন্যুটির স্পোর্টস কমপ্লেক্সে মাল্টিপারপাস হল, সুইমিং পুল, স্পা এবং সবুজ ছাদসহ একটি শপিং সেন্টারও রয়েছে। স্টেডিয়ামটির আয়তন এতোই বড় যে এতে একসাথে ৫০ হাজার গাড়ি পার্ক করা যাবে।

স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণক্ষমতা ৪০ হাজার। তবে অন্যান্য ভেন্যুগুলোর মতোই বিশ্বকাপের পর আসন সংখ্যা কমানো হবে জানুব স্টেডিয়ামেও। অবশ্য ফেলে দেয়া আসনগুলো উন্নয়নশীল দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে দিয়ে দেয়ার পরিকল্পনাও আছে কর্তৃপক্ষের। আসন্ন কাতার বিশ্বকাপে এই ভেন্যুতেই অনুষ্ঠিত হবে মোট ৭ ম্যাচ।

ইউএইচ/

Exit mobile version