Site icon Jamuna Television

পুঁজিবাজারে টানা দরপতনে ফ্লোর প্রাইসে এসে ঠেকেছে ৩১৯টি কোম্পানি

আলমগীর হোসেন:

চলমান অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। চলছে টানা দরপতন। দাম কমে ফ্লোর প্রাইসে নেমে এসেছে প্রায় ৮৫ শতাংশ শেয়ার। গুজব আর আতঙ্কে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকট আর আমানত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের খবরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আস্থা ফেরাতে বাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ার দাবি মার্চেন্ট ব্যাংকের।

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে চলছে এই দরপতন। টানা দরপতনে সূচক কমেছে দুইশ পয়েন্ট। হাজার কোটি টাকার লেনদেন নেমেছে ৫শ’ কোটি টাকার ঘরে। দাম কমেছে লেনদেন হওয়ার বেশিরভাগ কোম্পানির। ফ্লোর প্রাইসে এসে ঠেকেছে ৩১৯টি প্রতিষ্ঠান। বাজারে বেশিরভাগ কোম্পানিরই শেয়ারের ক্রেতা নেই।

সাধারণ বিনিয়োগকারীরা দরতপতনের জন্যে কারসাজিকে দায়ী করেছেন। তারা বলছেন, কম দামে শেয়ার হাতিয়ে নিতে পরিকল্পিতভাবে দরপতন ঘটানো হচ্ছে। আর এতে নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈশ্বিক সংকটে কিছুটা চাপে আছে অর্থনীতি। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে। আমানত ফিরে না পাওয়া আর ডলার সংকটের গুজব ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আতঙ্কিত হয়ে অনেকেই শেয়ার বিক্রি দিচ্ছেন বলেও মনে করেন তারা।

বিনিময় সিকিউরিটিজের চীফ অপারেটিং অফিসার সুব্রত রায় বলেন, আস্থা এবং ফেইক নিউজ পাচ্ছে বলে এই মার্কেটের প্রতি মানুষের একটু দ্বিমুখ আছে। আর বৈশ্বিক অবস্থাও খারাপ। সবমিলিয়ে মার্কেট এখন একটু অস্থিতিশীল আছে।

শ্যামলী সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাজেদুল ইসলাম বলেন, বাজারে নানা ধরনের গুজব আছে। অর্থ বাজার নিয়েও আছে। একটা কুচক্রী মহল নানা ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।

মার্চেন্ট ব্যাংকাররা বলছেন, অর্থনৈতিক সংকটের চেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। টানা দরতনে অনেকেই আস্থা হারিয়েছেন। সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বাজারমুখী করতে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে হবে। এজন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।

মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। কিছুটা আতঙ্কে আছে। প্রতিদিনই তার শেয়ারের মূল্য কমে যাচ্ছে। আবার সেটার সাথে তার মার্জিন লোন আছে। এসব কারণে সে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চেষ্টা করবে। পলিসির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে যদি বিনিয়োগ বাড়ানো যায়, তাহলে আবারও প্রাণ ফিরে পাবে বলে মনে করি।

পুঁজিবাজারের চলমান সংকট সাময়িক। দ্রুতই পুঁজিবাজারে আবারো ঘুরে দাড়াবে বলেও আশা মার্চেন্ট ব্যাংকারদের।

/এমএন

Exit mobile version