Site icon Jamuna Television

কাতারের সংস্কৃতি ও লোককথার সাক্ষী আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়াম

আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়াম, আল-রাইয়ান।

কাতারের রাজধানী দোহার পাশেই আল-রাইয়ান শহরে আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়ামের অবস্থান। আল-রাইয়ানে মরুভূমির সৌন্দর্যের পাশাপাশি আছে উদ্ভিদ ও প্রাণীর ছাপ। সবমিলিয়ে বিশ্বকাপের ৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে এ স্টেডিয়ামে। স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার।

দোহার প্রাণকেন্দ্র থেকে সড়কপথে ২০ কিলোমিটার পেরোলেই চোখে পড়বে বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এক ভেন্যু- আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়াম। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ সামনে রেখে উদ্বোধন করা চতুর্থ স্টেডিয়াম এটি। মূল সড়ক থেকে নেমে ভেতরে ঢুকলে শুধুই যেনো মুগ্ধতা!

২০০৩ সালে নির্মিত এ স্টেডিয়ামে দর্শক ধারণক্ষমতা ২১ হাজার। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ২০১৫ সালে ভেন্যুটি ভেঙে ফেলা হয়। ২০১৬ সালে শুরু হয় পুনঃনির্মাণ কাজ। ২০২০ সালের ১৮ ডিসেম্বর আমির কাপ ২০২০ এর ফাইনাল খেলার মধ্য দিয়ে উদ্বোধন হয় স্টেডিয়ামটির।

বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দর্শক ধারণক্ষমতা উন্নীত করা হয় ৪০ হাজারে। যদিও বিশ্বকাপের পর কিছু অনুন্নত ফুটবল দেশকে ১৫-২০ হাজার করে আসন দিয়ে দেবে কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন- এমনটাই রয়েছে পরিকল্পনা।

স্টেডিয়ামটি দোহার আল রিফা মেট্রো স্টেশন থেকে হাঁটার দূরত্বে। আল-রাইয়ানে মরুভূমির সৌন্দর্যের পাশাপাশি আছে উদ্ভিদ ও প্রাণীর ছাপজ্যামিতিক আকৃতিতে সারিবদ্ধ গাছ মরুভূমির সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।

স্টেডিয়ামের সামনের অংশ বালির টিলাতে পরিপূর্ণ। ভেন্যুটির নকশা মূলত স্থানীয় লোক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের দিকগুলোকে তুলে ধরেছে। স্টেডিয়ামের উপরিভাগ হলো ঘাস। মরুভূমির প্রান্তে অবস্থিত এ স্টেডিয়ামটি কাতারের অসংখ্য লোককথার সাক্ষী।

বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতকৃত অত্যাধুনিক স্টেডিয়ামটিতে গ্রুপ পর্বের ৫টি ম্যাচ ও রাউন্ড অফ সিক্সটিনের ১টিসহ অনুষ্ঠিত হবে মোট ৬ ম্যাচ। আধুনিক এয়ার কন্ডিশনিং, অত্যাধুনিক আর্ট ফ্যাসিলিটি সিস্টেমসহ নানান সুযোগ সুবিধায় মোড়ানো এ স্টেডিয়ামটি এখন অপেক্ষায় বিশ্বকাপের।

/এসএইচ

Exit mobile version