Site icon Jamuna Television

আরও কমবয়সী প্রেসিডেন্ট চান ৮৬ শতাংশ আমেরিকান: জরিপ

ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত ছবি।

যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫ বছর বয়সেই অবসরে যান বেশিরভাগ নাগরিক, অথচ সেই দেশের প্রেসিডেন্টের পদ সামলাচ্ছেন ৮০ বছরের জো বাইডেন! সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী নির্বাচনেও প্রার্থী হওয়ার কথা দুই প্রবীণ প্রার্থী বাইডেন ও ট্রাম্পের। তবে, বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক জরিপ বলছে, ৮৬ শতাংশ আমেরিকান আরও কমবয়সী প্রেসিডেন্ট চান।

এর আগে, ৭৮ বছর বয়সে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন জো বাইডেন। আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে নিজের সে রেকর্ড নিজেই ভাঙতে যাচ্ছেন তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে বাইডেন দায়িত্ব ছাড়বেন ৮৬ বছর বয়সে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার কথা ৭৬ বছরের বুড়ো ডোনাল্ড ট্রাম্পের। সাবেক এ প্রেসিডেন্ট জিতলে ক্ষমতা ছাড়ার সময় তার বয়স হবে ৮২।

সুতরাং এটা তো বলাই যায় যে, আবারও বয়স্ক কারও হাতেই উঠতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির দায়িত্ব। যদিও, এক জরিপে প্রায় ৮৬ শতাংশ আমেরিকানই মত দিয়েছেন- প্রেসিডেন্ট পদের জন্য সর্বোচ্চ বয়স হওয়া উচিত ৭৫ বছর।

জরিপে অংশ নেয়া মার্কিন নাগরিকদের অধিকাংশই মনে করেন, বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষের কাজের গতিও কমে যায়। এক্ষেত্রে প্রবীণদের তুলনায় তরুণরা অনেক বেশি বুদ্ধিদীপ্ত ও স্মার্ট। তারা মনে করছেন, পদত্যাগ করার সময় হয়ে গেছে দেশটির প্রবীণ রাজনীতিকদের।

এদিকে জরিপের ফলাফল বলছে, বাইডেন ও ট্রাম্পের প্রার্থিতা নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকের। তবে, বয়সকে ফ্যাক্টর মানতে নারাজ অনেকেই। তাদের মতে, যোগ্য যে কেউই বসতে পারেন প্রেসিডেন্টের পদে। এমনকি বাইডেনের নেতৃত্বের প্রশংসাও করেছেন তারা।

লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে যে, মার্কিন রাজনীতিতে বয়স্কদের বেশ দাপট রয়েছে। দেশটির কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির বয়স ৮২, ৮০ বছরের মিচ ম্যাককনেল সিনেটের রিপাবলিকান নেতার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। মধ্যবর্তী নির্বাচনে টানা অষ্টমবারের মতো সিনেটর নির্বাচিত হয়েছেন ৮৯ বছরের চাক গ্রেসলি।

প্রসঙ্গত, বয়স নিয়ে এমন মাতামাতি হলেও বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক শাসকের তালিকায় শীর্ষ দশেও নেই জো বাইডেন। বর্তমানে সবচেয়ে বয়স্ক রাষ্ট্রপ্রধান ক্যামেরুনের প্রেসিডেন্ট পল বিয়া (৮৯)। আর, ডেনমার্কের রানি দ্বিতীয় মার্গারেটের বয়স চলছে ৮২।

/এসএইচ

Exit mobile version