
চীনের সাথে সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই নতুন তিন ধরনের ড্রোন যুক্ত হলো তাইওয়ানের সামরিক বাহিনীতে। তথ্য সংগ্রহ, আকাশ প্রতিরক্ষা এবং পাল্টা হামলা চালাতে সক্ষম এসব ড্রোন। রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র বহনের পাশাপাশি, আত্মঘাতি ড্রোনও তৈরি করেছে তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী। খবর এপির।
ক্ষেপণাস্ত্রের মতো দেখতে হলেও এসব মুলত ড্রোন। কামিকাজি বা আত্মঘাতি এসব ড্রোনে সংযুক্ত থাকে ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা রকেট। যা নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে সক্ষম নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে। সম্প্রতি এসব ড্রোন যোগ হয়েছে তাইওয়ানের সমরভান্ডারে।
সম্প্রতি নিজস্ব প্রযুক্তিতে তিন ধরনের ড্রোন তৈরি করে তাইওয়ানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি। যুদ্ধ ক্ষেত্রের তথ্য সংগ্রহ, আকাশ প্রতিরক্ষা আর পাল্টা হামলার জন্য তৈরী করা হয় এসব ড্রোন।
ড্রোন প্রকল্প পরিচালক বলেন প্রতিরক্ষা, তথ্য সংগ্রহ এবং পাল্টা আক্রমনের জন্য আমরা ড্রোন তৈরি করছি। বিশেষ করে আমাদের লক্ষ্য যেন যুদ্ধক্ষেত্রে তথ্য সংগ্রহের জন্য ড্রোনের ওপর আমাদের সামরিক বাহিনীর কমান্ড পোস্টগুলো নির্ভর করতে পারে। এক স্থান থেকে তথ্য বা ছবি সংগ্রহ করার পর যেন সেই ড্রোন থেকে সব খানে তথ্য পৌঁছায় সেই ব্যবস্থাও আমরা করেছি।
হেলিকপ্টারের আদলে এসব ড্রোন তৈরি হয়েছে মুলত গোয়েন্দাবৃত্তির জন্য। অন্যদিকে মার্কিন রিপারের আদলে এসব ড্রোনের উদ্দেশ্য শত্রুর অবস্থানে হামলা করা।
ড্রোন প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, ড্রোনই হলো যুদ্ধের ভবিষ্যত অস্ত্র। যেসব দেশ ড্রোন নির্মাণ এবং এর সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সেসব দেশই প্রতিরক্ষা খাতের নিয়ন্ত্রণের থাকবে। তাই অনেক দেশই এখন ড্রোনের উন্নয়নে কাজ করছে।
তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ বলছে, ভবিষ্যত সামরিক আগ্রাসন ঠেকানোর প্রস্তুতি হিসেবে ড্রোনের সক্ষমতা বাড়ানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
ড্রোনকে বলা হচ্ছে ভবিষ্যতের সমরাস্ত্র। চলমান রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ড্রোনের সক্ষমতার বিষয়টি।
এটিএম/
 
 
				
				
				 
 
				
				
			


Leave a reply