Site icon Jamuna Television

কোটি মানুষের দৃষ্টি এখন কাতারে

মরুর বুকে আজ পর্দা উঠছে ‘দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপের। তাইতো কোটি মানুষের দৃষ্টি এখন কাতারের দিকে। কাতারের আল-খোরের আল বায়াত স্টেডিয়ামে কাতার ও ইকুয়েডরের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে এবারের বিশ্বকাপ।

রোববার (২০ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হবে ইকুয়েডর-কাতারের ম্যাচটি। এর মাধ্যমে শুরু হয়ে যাবে মাসব্যাপী বিশ্বকাপের জমজমাট লড়াই।

এই প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ হিসেবে কাতারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে কাতারের এটি প্রথম অংশগ্রহণ। স্বাগতিক হিসেবে কাতার সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

অন্যদিকে আট বছর অনুপস্থিত থাকার পর বিশ্বকাপে ফিরেছে ইকুয়েডর। কাগজে কলমে কাতারের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছে ইকুয়েডর। দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইপর্বে কঠিন চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে ইকুয়েডর চতুর্থ স্থান লাভ করেছিল। তবে কাতারের সাথে ইকুয়েডরের সবশেষ দেখা হয় ২০১৮ সালে। তখন দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে ৪-৩ গোলে ইকুয়েডরকে হারিয়েছিল কাতার। যে কারণে ম্যাচটিতে জয়ের সম্ভাবনায় এগিয়ে রয়েছে সফরকারীরাও।

১৯৩০ সালে শুরু হওয়া ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসরের আয়োজক দেশ কাতার। কাতারের আয়োজক হওয়া নিয়ে যেমন আছে আলোচনা, তেমনি আছে সমালোচনাও। তবে সব কিছু ছাপিয়ে আজ মাঠে গড়াচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের এই মহারণ।

ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ হিসেবে কাতারের না ছিল কোনো অভিজ্ঞতা, না ফুটবলীয় ইতিহাস, না ছিল কোনো সুযোগ-সুবিধা। কিন্তু ২০১০ সালে আয়োজক দেশ ঘোষণা হবার পরপরই কাতার সমগ্র বিশ্বকে কথা দিয়েছিল যে, বিশ্বকাপ আয়োজন করে সবাইকে চমকে দেবে কাতার। কাতার সেই কথা রাখার চেষ্টা করেছে অনেকটুকু। বিশ্বকাপের এবারের আসরে চোখ ধাঁধানো স্টেডিয়াম থেকে শুরু করে থাকছে নজরকাড়া সব আয়োজন।

কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে গিয়ে বানিয়ে ফেলা হয়েছে একটা গোটা শহরই। কোনো কোনো শহরে আবার মেট্রো সার্ভিস চালু করা হয়েছে কেবলমাত্র বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে। আর এই কারণেই এবারের বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিশ্বকাপ।

উল্লেখ্য, কাতার এর আগে তিনবার ইকুয়েডরের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলেছে যার মধ্যে একটিতে জয়, একটি ড্র ও একটি পরাজিত হয়েছে। আলবেনিয়ার বিপক্ষে শেষ প্রীতি ম্যাচে আহমেদ আয়েলদিন ইনজুরিতে পড়ে ২৬ মিনিটে মাঠ ছাড়েন। এই একটি ইনজুরি ছাড়া আপাতত কোনো ঝুঁকি নেই কাতার শিবিরে। যদিও কাতারের মেডিকেল টিম আশ্বস্ত করেছে আয়েলদিনের ইনজুরি ততটা গুরুতর নয়।

ইউএইচ/

Exit mobile version