Site icon Jamuna Television

গলার কাঁটা ‘অফসাইড’

ছবি: সংগৃহীত

হতাশ হয়ে একসময় দৌড়ানোই ছেড়ে দিলেন লিওনেল মেসি। না দেখেও বুঝে নিলেন, অফসাইডের পতাকা তুলে বসে আছেন সহকারী রেফারি। সৌদি আরবের বিপক্ষে প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকলেও আর্জেন্টিনার গলার কাঁটা হয়ে থাকল অফসাইড আর ভিএআর প্রযুক্তি।

বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে লিওনেল মেসির গোলে সৌদি আরবের বিপক্ষে ১-০ ‘তে এগিয়ে থাকলেও আর্জেন্টিনার গোল হতে পারত আরও তিনটি। ভিএআর প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে মেসির একটি ও লাওতারো মার্টিনেজ দু’টি গোল বাতিল করে দেন রেফারি স্লোভেনিয়ান রেফারি স্লাভকো ভিনচিচ।

১০ মিনিটে পেনাল্টিতে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। বক্সের ভেতর লিয়ান্দ্রো পারেদেসকে ফেলে দেন সৌদি ডিফেন্ডার আলি আল বুলায়হি। ভিআরের সহায়তা নিয়ে আর্জেন্টিনার পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়াতে ভুল করেননি মেসি। এই গোলে এক নতুন এক মাইলফলকও গড়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। একমাত্র আর্জেন্টাইন হিসেবে চার বিশ্বকাপে গোল করার বিরল অর্জনটা এখন কেবল তারই।

খেলার ২২ মিনিটেও বল জালে জড়িয়ে ছিলেন মেসি। কিন্তু অফসাইডের কারণে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেন রেফারি। পাঁচ মিনিট পরেই অধিনায়কের মতো আক্ষেপে পুড়েছেন লাওতারো মার্টিনেজ। ২৭ মিনিটে গোল পেলেও ভিএআরের সাহায্যে আর্জেন্টিনাকে আবারও হতাশায় পোড়ান রেফারিরা।

৩৫ মিনিটেও মেসির পাস থেকে মার্টিনেজের গোল বাতিল হয় একই কারণে। সৌদির হাইলাইন ডিফেন্সে বারবার অফসাইডের ফাঁদে পা দেয়ায় প্রথমার্ধে ব্যবধানটা বড় করতে পারেনি আর্জেন্টিনা।

/এনএএস

Exit mobile version