Site icon Jamuna Television

চিনির ওপর শুল্ক ছাড়ের আভাস বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের

চিনির শুল্ক কমানোর আভাস দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে তার আগে সরকার নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি হয় কিনা তা যাচাই করা হবে। বিশ্ববাজারের তুলনায় নিত্যপণ্যের দাম যেন অস্বাভাবিক না হয় সেদিকে প্রশাসন নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তবে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ভবিষ্যতে আমদানি করা পণ্যে শুল্কছাড় দিলে ক্রেতার খুব একটা লাভ হবে না।

এর আগে নভেম্বরের শুরুতেই বাজারে চিনি নিয়ে শুরু হয় কারসাজি। প্রায় কোনো দোকানেই পাওয়া যাচ্ছিল না নিত্য এ পণ্য। এই সুযোগে চিনির দাম ১২০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চিনির দাম বাড়িয়ে নেয় উৎপাদক কোম্পানি। এরপরই বাজারে যোগান বাড়ে। আর সেই দামেই চিড়ে চ্যাপ্টা অবস্থা নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের।

এনিয়ে কোম্পানিগুলোর যুক্তি, ডলারের চড়া দামের কারণেই চিনি আমদানির খরচ বেড়েছে। ভোগান্তি বাড়িয়েছে রিফাইনারির গ্যাস সংকট। তাই ১০৮ টাকার নিচে চিনি বিক্রি করতে রাজি নয় কেউ। এ অবস্থায় নড়েচড়ে বসেছে সরকার। আবারও শুল্ক কমিয়ে চিনির দাম কমানোর চিন্তা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে সেক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত দরে চিনি বিক্রি হচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে প্রশাসন।

এ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, যে দামই ঠিক হয়েছে সে দামে যাতে সাধারণ ভোক্তারা পায় সেদিকে নজর রাখছি আমরা। পাশাপাশি আমরা চেষ্টা করছি, শুল্ক কিছুটা কমিয়ে তেল ও চিনির দাম কিছু কমানো যায় কিনা।

অন্যান্য অনেক পণ্যের মতোই, বাজারে চিনি বিক্রি হলে সরকার ৪ ধরনের ট্যাক্স পায়। আমদানি শুল্কের পাশাপাশি পণ্যের ওপর ভ্যাট, সারচার্জ ও অগ্রিম কর বসে। তার ওপর দাম কমানোর সিদ্ধান্ত বাজারে ঢিমেতালে কার্যকর করে ব্যবসায়ীরা। তাহলে চিনির দাম কমবে কীভাবে?

এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেলো ক্যাবের সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নানের কাছে। তিনি বলেন, মিল কর্তৃপক্ষ যে পণ্য খালাস করেছেন, সে পণ্যের হিসেবে সরকার যে ট্যাক্স আহরণ করে থাকে সেটি যদি পরবর্তী ট্যাক্সের থেকে রেয়াদ করে দেয় তাহলে এই মুহূর্ত থেকেই হ্রাসকৃত মূল্যে পণ্য বাজারজাত করা সম্ভব।

এসজেড/

Exit mobile version