Site icon Jamuna Television

পোল্যান্ড-মেক্সিকো ড্রয়ে কি আর্জেন্টিনার সুবিধা হলো?

ছবি: সংগৃহীত

অঘটন যা ঘটার তাতো ঘটেই গেছে। শুরুর ব্যথা ভুলে শেষটা ভালো করা যায় কীভাবে? সেই আশায় বুক বেঁধে আর্জেন্টাইন সমর্থকরা এখন খুঁজছেন প্রিয় দলের শেষ ষোলোতে পৌঁছানোর পথ। আর সেখানে মেসিদের অনুপ্রেরণা হয়ে কাজ করছে ডিয়েগো ম্যারাডোনার ৯০ এর আর্জেন্টিনা।

৩২ বছর আগের সেই বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ হেরে বসে আকাশী নীলরা। তবে পরের দুটি ম্যাচে একটিতে জয় ও অন্যটিতে ড্র করে গ্রুপের তৃতীয় দল হিসেবে দ্বিতীয় রাউন্ডে যায়গা পায় আলবিসেলেস্তারা। এরপর ১-০ গোলে ব্রাজিলকে হারানোর পর যুগোস্লাভিয়া ও ইতালিকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছায় ডিয়েগো ম্যারাডোনার দল। যদিও ফাইনালে হেরে সে যাত্রায় স্বপ্নভঙ্গ হয় আর্জেন্টাইনদের।

গত তিন দশকে বদলে গেছে অনেক কিছু। যেমন এসেছে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি ভিএআরের মত প্রযুক্তি, তেমনি বদলেছে বিশ্বকাপের ফরম্যাটও। ৯০ এর বিশ্বকাপে দল সংখ্যা ছিল ২৪টি যা এখন ৩২। ছয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপের সঙ্গে পরের রাউন্ডে যায়গা পেত গ্রুপের তৃতীয় দলও। সেটাই সেবার বাঁচিয়েছিল আর্জেন্টিনাকে।

কাতার বিশ্বকাপে ৮ গ্রুপ থেকে ২টি করে দল যাবে শেষ ষোলোতে। সি গ্রুপে এখন পর্যন্ত ম্যাচ হয়েছে দুটি। আর্জেন্টিনা ২-১ এ সৌদি আরবের কাছে হারের পর মেক্সিকো-পোল্যান্ড ম্যাচটি ড্র হয়েছে গোল শূন্য। এই দুই দলকে একটা ধন্যবাদ দিয়ে রাখতেই পারে স্কালোনির দল। সি গ্রুপের আর ম্যাচ বাঁকি ৪টি। মেসিদের পরবর্তী দুই প্রতিপক্ষ মেক্সিকো ও পোল্যান্ড। এই দুটি ম্যাচ যেকোনো ব্যবধানে জিতলেই শেষ ষোলোতে নিশ্চিত ভাবেই পৌঁছে যাবে আর্জেন্টিনা।

এতো গেলো সহজ সমীকরণের সরল অঙ্ক। তবে জটিলতা তৈরি হবে তখনই যদি শেষ দুই ম্যাচের একটিতেও ড্র নিয়ে ফিরতে হয় আলবিসেলেস্তাদের। তখন হিসাব দাঁড়াবে গ্রুপের অন্যদলের সাথে গোল ব্যবধানের। আর যদি শেষ দুই ম্যাচের একটিতেও প্রথম ম্যাচের মত পা হড়কে যায় মেসি ডি মারিয়াদের। সেখানেই সব স্বপ্ন হবে ধূলিসাৎ।

ইউএইচ/

Exit mobile version