Site icon Jamuna Television

কাতার বিশ্বকাপ: গোলশূন্য ড্র নিয়ে ফিরলো ইংল্যান্ড-যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্বকাপে যেভাবে শুরু করেছে দুই দল, তার প্রতিফলন খুব বেশি দেখা যায়নি আল বাইত স্টেডিয়ামে যুক্তরাষ্ট্র-ইংল্যান্ডের ম্যাচে। বেশকবার ইংল্যান্ডের গোলবার কাঁপিয়েও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচের যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে, ইরানকে ৬-২ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে উড়ন্ত সূচনা করা গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ডও এ ম্যাচে পারেনি আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে। তারকায় ঠাঁসা ইংল্যান্ডকে বেশ অনেকটাই যেনো কোণঠাসা করে রেখেছিলেন ডেস্ট-উইয়াহরা।

তবে প্রথমার্ধের খেলায় আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের কোনো কমতি ছিল না। প্রথমার্ধে স্টার্লিং-কেইনদের চেয়ে বেশ অনেকটা এগিয়েই ছিল গ্রেগ বারহাল্টারের যুক্তরাষ্ট্র। ইনজুরি টাইমে ম্যাসন মাউন্ট একবার পরীক্ষা নিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক ম্যাট টার্নারের। চেলসির আক্রমণাত্মক এ মিডফিল্ডারের জোরালো শট ঠেকিয়ে সে দফা যুক্তরাষ্ট্রকে বিপদমুক্ত করেন টার্নার।

তাছাড়া, প্রথমার্ধে ডানপ্রান্ত দিয়ে সার্জিনো ডেস্টের আক্রমণে ওঠার দৃশ্যই ছিল সবচেয়ে নিয়মিত ঘটনা। এরকম এক আক্রমণ থেকেই বাম পায়ের জোরালো শটে জর্ডান পিকফোর্ডকে পরাস্তও করেন পুলিসিচ। কিন্তু সে শট গোলবারে প্রতিহত হলে আর লিড নেয়া হয়নি যুক্তরাষ্ট্রের।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে চলতে থাকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। এ সময় নিয়মিত বিরতিতে পরীক্ষা দিয়েছে দুদলের কিপাররা। এ সময় একের পর এক আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছেন হ্যারি কেন-জ্যাক গ্রিলিশরা।

দ্বিতীয়ার্ধের ৮২ মিনিটে সাবটিটিউট করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের টিমোথি উইয়াহকে। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেন জিওভানি রেইনা। মজার ব্যাপার হলো, এই দুই খেলোয়াড় খুবই মর্যাদাসম্পন্ন ফুটবল সংশ্লিষ্ট পরিবারের সন্তান। টিমোথির বাবা জর্জ উইয়াহ ১৯৯৫ সালে ব্যালন ডি’অর জয়ী লাইবেরিয়ান ফুটবলার। জর্জ বর্তমানে দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি আফ্রিকার প্রথম সরকার প্রধান যিনি একজন পেশাদার ফুটবলার ছিলেন। অন্যদিকে, জিওভানি রেইনার বাবা ক্লডিও রেইনা ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক। ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপের পর তিনি অবসর নেন।

একের পর আক্রমণ ব্যর্থ হলেও থেমে ছিল না গোলের চেষ্টা। শেষের দিকে বেশকটি ফ্রি-কিক ও কর্নার পেলেও সেগুলোর কোনোটিই কোনো কাজে আসছিলো না। এক পর্যায়ে মনেই হচ্ছিলো, এ বিশ্বকাপে নিজেদের সবকটি গোল আগের ম্যাচেই করেছে ইংল্যান্ড। ম্যাচের ৮০ মিনিটের পর মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাতে থাকে ইংলিশরা। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত সময়ের খেলায়ও কোনো পরিবর্তন আসেনি। ফলে, গোলশূন্য ড্র নিয়েই আল বাইত ত্যাগ করতে হয়েছে দুদলকে।

/এসএইচ

Exit mobile version