Site icon Jamuna Television

গোল করে এবং করিয়ে মেসি দেখালেন ‘আমি এখানে’

লিওনেল মেসি।

পোল্যান্ডের সাথে সৌদি আরবের ম্যাচের আগে একটি প্ল্যাকার্ড আলাদা করে দৃষ্টি কেড়েছিল। তাতে লেখা ছিল- হোয়ার ইজ লেভানদোভস্কি? তার উপরে লেখা ছিল- হোয়ার ইজ মেসি? যেটি কিনা লাল কালিতে কাটা ছিল। অর্থাৎ মেসিকে দেখা হয়ে গেছে সৌদি সমর্থকদের। অথচ সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচে পেনাল্টি থেকে প্রথম গোলটি করেছিলেন এলএম টেনই। এরপর একাধিক গোলের সুযোগও সৃষ্টি করেছিলেন। কিন্তু সবদিন এক যায় না। দ্বিতীয়ার্ধে সৌদি ম্যাজিকে ম্যাচটাও বাজেভাবে হেরে বসে আলবিসেলেস্তেরা। ফলে মেসিকে দেখে ফেলা ‘শেষ’ সৌদি সমর্থকদের। অনেকে মেসিরই শেষ দেখে ফেলেছিলেন।

শনিবার লুসাইলের মাঠে যেন আবারও নিজেকে দেখালেন মেসি। ছন্নছাড়া প্রথমার্ধের পর যখন সমর্থকদের মনে শঙ্কার কালো ছায়া, দলের মনোবলেও চিড় ধরছে তখন ঠিকই দ্বিতীয়ার্ধে দায়িত্ব নিয়ে খেলা গোছালেন। নিজের কাজটা তো ঠিকঠাক করেই যাচ্ছিলেন, বাকিদেরটাও করিয়ে নিচ্ছিলেন। ফলও পাওয়া গেলো নগদে।

দ্বিতীয়ার্ধের কয়েক মিনিট যেতেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় আলবিসেলেস্তেরা। একের পর এক আক্রমণও সাজাতে থাকে। ম্যাচের ৫৭ মিনিটের মাথায় গুইদো রড্রিগেজের বদলি হিসেবে এনজো ফার্নান্দেজ নামার পর মাঝমাঠের খেলায় গতি আসে। ৬৩ মিনিটের মাথায় নিষ্প্রভ লাউতারো মার্টিনেজের বদলে আলভারেজ এবং রাইটব্যাক মন্তিয়েলের বদলে মলিনা মাঠে নেমে আক্রমণের ধার তাৎক্ষণিক বাড়িয়ে দেন। ফলও পাওয়া গেছে হাতেনাতে। ৬৪ মিনিটে ডানপ্রান্তে আনহেল ডি মারিয়া বলের যোগান পেয়ে বাড়িয়ে দেন বক্সের বাইরে থাকা মেসির দিকে। একদম মাপা শটে মেক্সিকোর ডিফেন্সকে বোকা বানালেন মেসি। ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পেলেন না ‘মেক্সিকোর শেষ প্রাচীর’ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ওচোয়া।

তখনই দর্শকদের দিকে ছুটে গেলেন মেসি। দু’হাত তুলে যেন আশ্বস্তই করলেন, আমি আছি, তোমাদের হতাশ করবো না।

এরপরও একাধিক সুযোগ সৃষ্টি করেছেন মেসিয়াহ। কিন্তু তার সদ্ব্যবহার করার সারথির যেন বড়ই অভাব। সেই অভাব ঘুচালেন এনজো ফার্নান্দেজ। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে বাঁ’প্রান্ত থেকে মেসির বাড়ানো বলে দারুণ এক বেনানা কিকে ওচোয়াকে দর্শক বানিয়ে দিলেন। এর সাথে সাথে নতুন আরেকটি রেকর্ড করলেন এলএম টেন। টানা পাঁচ বিশ্বকাপে অ্যাসিস্ট করা একমাত্র খেলোয়াড় এখন শুধুই মেসি।

মেসিকে যারা খুঁজছিলেন তারা নিশ্চয় এখন খুঁজে পেয়েছেন।

Exit mobile version