Site icon Jamuna Television

ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ: দাবি সাবেক ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যের বইয়ে

ছবি: সংগৃহীত।

গত ৮ সেপ্টেম্বর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যু হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, ৯৬ বছর বয়সী রানি মারা গেছেন বার্ধক্যজনিত কারণে। তবে সদ্য প্রকাশিত একটি বই এই দাবিকে যেন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। এরই মধ্যে তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে ব্রিটিশ সাংবাদিক, লেখক ও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য জাইলস ব্র্যান্ডরেথের ‘এলিজাবেথ: অ্যান ইন্টিমেট পোর্ট্রেট’ শীর্ষক বইটি। সেখানে লেখক দাবি করেছেন, গোপন সূত্রে তার কাছে খবর আছে, শেষ বয়সে ক্যানসারে ভুগছিলেন রানি। খবর ইনসাইডারের।

সম্প্রতি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনী নিয়ে এই বই প্রকাশ করেছেন জাইলস ব্র্যান্ডরেথ। তিনি বর্তমান রাজা তৃতীয় চার্লসেরও বন্ধু। বইয়ে ব্রান্ডরেথ লেখেন, প্রিন্স ফিলিপের এক বন্ধুর সাথে আলাপ আছে আমার। তার কাছ থেকে জানতে পেরেছি, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার শেষ জীবনে মাইলোমা নামের হাড়ের মজ্জার ক্যানসারে ভুগছিলেন। এ কারণেই তার কোমরে ও পায়ে ব্যথা হতো।

বইয়ে লেখা হয়েছে, শেষের দিকে রানি যখন জনসম্মুখে আসতেন, তখন তার চেহারায় ক্লান্তিভাব দেখা যেতো। দ্রুত ওজন কমে যাওয়া ও চলাফেরায়ও অসুবিধা হতো তার। এতোদিন এ বিষয়ে কোনো মুখ খোলেনি সংশ্লিষ্টরা। তবে এখন ক্যানসারের বিষয়টি জানার পর তার শারীরিক অসুস্থতার এসব লক্ষণগুলোকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব।

ব্র্যান্ডরেথ আরও লেখেন, প্রিন্স ফিলিপের মৃত্যুর পর থেকেই নিজেকে বহির্বিশ্ব থেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন রানি। সত্যিটা হলো, তিনি নিজেও বুঝতে পেরেছিলেন, তার হাতে সময় খুব কম। তাই সম্মানের সাথেই তিনি এটি মেনে নিয়েছিলেন।

মূলত মৃত্যুর শেষের দিকে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে জনগণের কাছে। অসুস্থতার কারণে ২০২১ সালের ফেস্টিভ্যাল অফ রিমেমব্রেন্স এবং জাতীয় সংসদের ওপেনিংয়ে যাওয়া বাতিল করতে হয় তাকে। তবে ব্রিটিশ সরকার বা রাজপরিবারের পক্ষ থেকে কখনোই রানির শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি। ঠিক কী কারণে তার স্বাস্থ্য এতোটা ভেঙে পড়েছে তা কখনোই জানতে পারেনি জনগণ। তাই ব্র্যান্ডরেথের বইয়ে এসবের উত্তর পেয়ে এখন নড়েচড়ে বসেছে ব্রিটিশ জনগণ।

এসজেড/

Exit mobile version