Site icon Jamuna Television

পাসের হারে এগিয়ে যশোর, পিছিয়ে সিলেট

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হারে এগিয়ে আছে যশোর শিক্ষা বোর্ড। এই বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দেয়া ৯৫ দশমিক ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। আর পাসের হারে সব বোর্ডের মধ্যে নিচের স্থান সিলেটের। ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন এই বোর্ডে।

বোর্ডগুলোর পাসের হার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৯০ দশমিক ৩ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৮৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৯১ দশমিক ২৮ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, দিনাজপুরে ৮১ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং ময়মনসিংহে ৮৯ দশমিক ২ শতাংশ।

এছাড়া, কারিগরি বোর্ডে পাশের হার ৮৯.৫৫ ভাগ। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৮২.২২ ভাগ।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুর ১২টার দিকে ফল ঘোষণা করেন। ফল প্রত্যাশীরা এখন সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট ও খুদেবার্তার মাধ্যমে ফল দেখতে পাচ্ছেন।

এদিন, ফলাফল প্রকাশ সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, সিলেটে বন্যার কারণে ফল খারাপ হয়েছে। জিপিএ-৫ বেড়েছে, কারণ পড়ালেখা ভালো হয়েছে শিক্ষার্থীদের। যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেউ পাশ করেনি তাদের উন্নতিতে কাজ করা হবে।

এবার মোট পাসের ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গতবার এ পাসের হার ছিল ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। পাশের হার কমেছে ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়।

এ বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট ২০ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। মোট তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় ১৬ লাখ।

/এমএন

Exit mobile version