Site icon Jamuna Television

শীত মৌসুমকেই প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া, উদ্বেগ ন্যাটোর

ছবি: সংগৃহীত।

চলমান যুদ্ধে শীত মৌসুমকে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়া। এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ন্যাটো মহাসচিব। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জোটভুক্ত দেশগুলো অস্ত্র সরবরাহ এবং সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। খবর আল জাজিরার।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, শীত মৌসুমকে যুদ্ধের মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। নিত্য নতুন এবং ভয়াবহ হামলার জন্য ইউক্রেনের পূর্ব-প্রস্তুতি রাখা উচিত। এ কারণেই জেলেনস্কি প্রশাসনকে ঢালাও সমর্থন দিচ্ছে ন্যাটোর দেশগুলো। মিত্ররা শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে। এর মাধ্যমে, ড্রোনের পাশাপাশি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল ধ্বংস করা সম্ভব। প্রশিক্ষণের পাশাপাশি অত্যাধুনিক অস্ত্র ও গোলাবারুদও দেয়া হবে।

মূলত, ইউক্রেনের বেশিরভাগ এলাকায় তাপমাত্রা মাইনাস ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে স্থবির হয়ে পড়বে গোটা জনজীবন। এরই মাঝে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কেন্দ্রগুলোতে চলছে রাশিয়ার ক্রমাগত হামলা। এরফলে দেশটির কয়েক লাখ মানুষ অন্ধকারে। প্রবল শীতেও বিদ্যুৎ না থাকায় জীবন নিয়েই টানাটানি তাদের। কারণ বিদ্যুৎ না থাকলে ঘর গরম করাসহ অন্যান্য শীতকালীন সুবিধা পাওয়া সম্ভব না।

এদিকে, এ পরিস্থিতি থেকে জনগণের জন্য বিশেষ অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছে সরকার। সেখানে বিদ্যুৎ ও পানিসহ আছে সব সুবিধা। শুধু রাজধানী কিয়েভেই ৩ লাখের মতো মানুষকে সরানো হয়েছে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে।

গত এক সপ্তাহে শুধু খেরসন অঞ্চলেই আড়াই শতাধিক হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। বলেন, সময়ের সাথে দখলদারদের হামলার পরিমাণ বাড়ছে। মাত্র এক সপ্তাহে খেরসন অঞ্চলের ৩০টি স্থাপনায় ২৫৮ বার মিসাইল-রকেট ছুড়েছে রুশবহর।

মাইকোলাইভের মূল গ্যাস স্টেশন এবং পানি বণ্টন কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধ চলুক, বা না চলুক এমন মানবতা বিরোধী অপরাধ করতে পারে না রাশিয়া। তারা ধ্বংসাত্মক প্রতিশোধে বিশ্বাসী। চোখের সামনে দেখছে ইউক্রেনবাসী প্রতিরোধ গড়ে তুলছে; মানছে না শাসন-হুমকি। তাই হামলা মাধ্যমে বশ্যতা স্বীকার করাতে চাইছে।

এর আগে, সোমবারই ইউক্রেন সফরে যান নর্ডিক ও বাল্টিক অঞ্চলের ৬টি রাষ্ট্রের প্রতিনিধি। এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বেসামরিক ইউক্রেনবাসীকে মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করা লজ্জাষ্কর। সেটি থেকে সুরক্ষায় জেনারেটর-গরম কাপড় এবং খাবারের মতো সহযোগিতা দেন তিনি।

এসজেড/

Exit mobile version