Site icon Jamuna Television

নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগে মামলা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহ সদরের ৩৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী’ পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে সাড়ে ৩ কোটি টাকার অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, গত ২০১৭ সালের ৩ এপ্রিল সদর উপজেলার ৩৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এলাকার মধ্যের প্রার্থীরা আবেদন করে। প্রতিটি পদ ৮ থেকে ১২ লক্ষাধিক টাকায় লেনদেন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চলতি বছরের ৪ জুলাই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় এ পরীক্ষায় ১৭৮ জন প্রার্থী।

জানা যায়, নিয়োগ বোর্ডে ছিলেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার শাম্মী ইসলাম, সদর এমপি প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম হিরন, ঝিনাইদ-৪ এম,পি প্রতিনিধি পারভেজ মাসুদ লিটন, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুস্তাক আহমেদ, ৩৬টি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মন্ডলী।

প্রার্থীরা অভিযোগ করেন ভাইভা বোর্ডে বিভিন্ন প্রকার অমূলক ও অসংগতিপূর্ন প্রশ্ন করে সাধারণ প্রার্থীদের বিভ্রান্তিতে ফেলা হয়। নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ এনে নিয়োগ ও বাছাই কমিটির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যদের বিবাদী করে ঝিনাইদহ বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে ১৯২/১৮,১৯৩/১৮,১৯৪/১৮ পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে।

মামলার বাদীরা হলেন- নারানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রার্থী জালাল উদ্দীনের ছেলে চান্নু মিয়া, আড়মুখী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রার্থী আতিয়ারের ছেলে রেজাওয়ানুল হক ও তেতুলবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রার্থী রফিকুল ইসলামের ছেলে রুবেল হাসান। এফিডেভিটে প্রতিটি স্কুলের সভাপতি ঘুষ বাণিজ্যের সাথে জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।

সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রতিটি পদে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা ও দুর্নীতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী প্রার্থীরা। এছাড়াও একই অভিযোগে ইতিপূর্বে সদর উপজেলার লাউদিয়া, বংকিরা ও পানামী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ স্থগিত হয়েছে।

Exit mobile version