Site icon Jamuna Television

ইসলামী ব্যাংকে বেনামি ঋণ বলে কিছু নেই, নামেই আছে: এমডির দাবি

আলমগীর হোসেন:

সম্প্রতি ইসলামী ব্যাংকের বেনামি ও জামানতবিহীন ঋণ নিয়ে গণমাধ্যমে যে প্রতিবেদন হয়েছে, তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ মনিরুল মওলা। বলেন, ঋণ বা বিনিয়োগের জন্য সর্বোচ্চ পোর্টফোলিও আমরা ধারণ করি। সুতরাং এ ধরনের একটি ব্যাংক, যারা ৪০ বছর ধরে কার্যক্রম চালাচ্ছে তাদের এ ধরনের অনিয়ম করার কোনো সুযোগ নেই। সিস্টেম আছে, এই সিস্টেমের ভেতরে আমাদের সবকিছু হয়। এখানে বেনামি ঋণ বলে কিছু নেই, নামেই আছে।

ইসলামী ব্যাংকে কোনো সংকট নেই বলেও দাবি করেন তিনি। মনিরুল মওলা জানান, একটি চেকও ব্যাংক থেকে রিফিউজ হয়নি, হবেও না। আর গ্রাহকদের আস্থাও কমেনি। তিনি উল্লেখ করেন, নেতিবাচক খবরের পরও এই কারণে আমানত না কমে উল্টো বেড়েছে। বরং খাদ্যপণ্যের আমদানি ও দাম বৃদ্ধিতে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে।

মোহাম্মদ মনিরুল মওলা

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন খাতে ব্যাংকটির বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ এক লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা। যা ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণের ১২ শতাংশের বেশি। আর দেশের মোট আমানতের ১০ শতাংশই জমা হয়েছে ব্যাংকটিতে। যার পরিমাণ দেড় লাখ কোটি টাকার বেশি।

শিল্প ও বাণিজ্যিক ঋণের পাশাপাশি ক্ষুদ্রঋণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ব্যাংকটির। এর মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরির পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে জানান মনিরুল মওলা। বলেন, কর্মসংস্থান তৈরির জন্য আমরা বড় বড় শিল্পে বিনিয়োগ করেছি। বাণিজ্যিক ব্যাংক হওয়ার পরেও আমরা মাইক্রো-ফাইন্যান্স করি। বাংলাদেশের প্রায় ৩০ হাজার গ্রামে এই কর্মসূচি চালু আছে। এই মুহূর্তে ১৬ লাখ গ্রাহক আছে। এরমধ্যে ৯২ শতাংশ হলেন নারী। তারা নিজেদের সাবলম্বী করছেন এবং জিডিপিতে ভূমিকা রাখছেন।

রেমিট্যান্স সংগ্রহেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ইসলামী ব্যাংকের। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের প্রায় ৩০ শতাংশই আসে এর মাধ্যমে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুতেও বিশেষ অবদান আছে ব্যাংকটির।

মোহাম্মদ মনিরুল মওলা বলেন, আমরা সবসময় ফোকাস দিয়েছি কীভাবে রেমিট্যান্স বাড়ানো যায় এ নিয়ে। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসে সৌদি আরব, সংযুক্ত-আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এই তিনি দেশ থেকে আসা রেমিট্যান্সের ৫২ শতাংশই আসে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। আর সারাবিশ্বের হিসেবে করলে এই মুহূর্তে তা ২৯ শতাংশ।

/এমএন

Exit mobile version