Site icon Jamuna Television

যুবলীগ নেতা হত্যায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৩০ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার যুবলীগ নেতা লিটন হত্যা মামলায় সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুজ্জামানসহ ৩০ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হেলালউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নিহত লিটন আলম সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের ইউসুফদিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল আলি মাতুব্বর ছেলে। তিনি পেশায় পল্লী চিকিৎসক ছিলেন, একই সাথে তিনি ভাওয়াল ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। লিটনের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

আদালত সুত্রে জানা গেছে, সালথা উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামানসহ এই ৩০ জন সবাই লিটন হত্যা মামলার আসামি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২১ মার্চ সকাল ৯টার দিকে ঔষধ আনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে ইউসুফদিয়া গ্রামের হাই মাতুব্বরের বাড়ির সামনে লিটনকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন লিটনের ভাই শাহ আলম বাদী হয়ে সালথা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ৩৩ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে এক জন আসামি মারা গেছেন, দুই জন জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।

বুধবার উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৩০ আসামি হাজির হলে আদালত তাদের সকলকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ১৬ জুলাই।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন জানান, বুধবার মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ছিল। কিন্তু আদালত রায় ঘোষণা না করে আদালতে হাজির উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৩০ আসামির জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। আগামী সোমবার ১৬ জুলাই এই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।

Exit mobile version